ঢাকা     রোববার   ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৮ ১৪৩১

আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় শ্রীনগর থানার ওসি প্রত্যাহার

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৪, ১১ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ২২:০৫, ১১ জানুয়ারি ২০২৫
আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় শ্রীনগর থানার ওসি প্রত্যাহার

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার ওসি কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে থানার ওসি কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরীকে প্রত্যাহার করে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিয়াম পাঠান, শুভ পাঠান ও হিমেল।

আরো পড়ুন:

পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, “ওসিকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশের অভিযানে রাতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।”

এর আগে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া যুবদল নেতা তরিকুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আজ রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিস্কারের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়।

জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মু. মাসুদ রানা বলেন, “উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কারণ, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এ নতুন বাংলাদেশে আমরা ও আমাদের দল কোনো অন্যায়কে প্রশয় দেব না।” 

প্রসঙ্গত, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মারামারির মামলায় গ্রেপ্তার যুবদল নেতা তরিকুল ইসলামকে (৪০) থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে শ্রীনগর থানায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও থানা সূত্রে জানা গেছে, মারামারির ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর শ্রীনগর থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার প্রধান আসামি তরিকুল ইসলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। এ খবরে রাত ৯টার দিকে থানায় ছুটে আসেন শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান। তিনি তারিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য শ্রীনগর থানার ওসি কাইয়ূম উদ্দিন চৌধুরীর ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। পরবর্তীতে শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা জেমস, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ, যুবদল নেতা রবিন, অপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব এমদাদুল ইসলাম রজিন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম শুভ, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক ইমনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী থানায় এসে আসামি তারিকুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়