‘১৫ পুলিশ হত্যা’ বক্তব্য এডিট হয়েছে বলে দাবি বিএনপি নেতার
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
গত ৯ জানুয়ারি দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে মিল্ক ভিটায় মতবিনিময় সভায় সাইদুর রহমান বাচ্চু বক্তব্য দেন
“সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে যদি ১৫ জন পুলিশ নিহত না হতো, তাহলে বাংলাদেশের পুলিশের মেরুদণ্ড ভাঙত না। আমরা সিরাজগঞ্জে আন্দোলন করে, বাংলাদেশের পুলিশের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়ে ২০২৪ সালের আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করেছি।”
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নব-নিযুক্ত সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সাইদুর রহমান বাচ্চুর এ বক্তব্যকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় তার দাবি, “বক্তব্য এডিট করা হয়েছে।”
গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে জেলার শাহজাদপুরে মিল্কভিটায় মতবিনিময় সভায় সাইদুর রহমান বাচ্চুর দেওয়া বক্তেব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সাইদুর রহমান বাচ্চুর বক্তব্য প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির নেতারা জানান, বক্তব্যটি সাইদুর রহমান বাচ্চুর ব্যক্তিগত। এর দায়ভার বিএনপি নেবে না।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার যে বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে, তা এডিট করা। আমার ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য আওয়ামী লীগের একটি কুচক্রী মহল এই কাজ করেছে। পুলিশ হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত। এঘটনায় মামলাও হয়েছে। আমার বক্তব্য এডিট করে আওয়ামী লীগ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।”
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান বলেন, “বিএনপি হত্যার রাজনীতি করে না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। পুলিশ হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত। পুলিশ আওয়ামী লীগের নেতাদের আসামি করে মামলাও করেছে। সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুুল লতিফ বিশ্বাস এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। সুতরাং এটি পরিষ্কার, এনায়েতপুরে পুলিশ হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত।”
তিনি আরো বলেন, “জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি তার ব্যক্তিগত। এর দায়ভার বিএনপি নেবে না।”
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন চলাকালে এনায়েতপুর থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ওসি আব্দুর রাজ্জাকসহ ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একইসঙ্গে অস্ত্র লুট করা হয়। গুরুতর আহত দুই পুলিশ সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এঘটনায় গত ২৫ আগস্ট এনায়েতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের চার নেতাকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় আরো ছয় হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে নাম না জানা আসামি করা হয়।
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ