সাংবাদিককে মারধর, অভিযোগ কৃষকদল ও শ্রমিকদল নেতার বিরুদ্ধে
পটুয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৈনিক ‘দেশ রূপান্তর’র কুয়াকাটা প্রতিনিধি কেএম বাচ্চু ও তার বাবা ইউনুস খলিফাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কৃষকদল এবং শ্রমিকদল নেতার বিরুদ্ধে।
রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিক এবং তার বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
কুয়াকাটা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা এবং পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক এবং স্থানীয়রা।
আহত সাংবাদিক বাচ্চু জানান, তার বাবা রাত আটটার দিকে চৌরাস্তা এলাকায় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় ওই এলাকার এক বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী খন্দকার। বাদাম বিক্রেতাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন তিনি। এ সময় ইউনুস খলিফা প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করেন আলী খন্দকার।
ঘটনা শুনে বাচ্চু সেখানে পৌঁছালে শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা ও আলী খন্দকারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন তার ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন কেএম বাচ্চু।
এ বিষয়ে জানতে আলী খন্দকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে জসিম মৃধা বলেন, ‘‘আমি ওখানে গিয়ে দেখি বাচ্চু খলিফাকে মারধর করা হচ্ছে। পরে আমি মারধর থামাতে গেলে বাচ্চু নিজেই আমার উপর হামলা চালায়। আমি বর্তমানে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি।’’
মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘ঘটনা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’
ইমরান//