ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ||  মাঘ ২ ১৪৩১

মাহমুদুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৯, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫  
মাহমুদুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

মহিবুল ইসলাম বাধন। ফাইল ফটো

২০১৮ সালে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কুষ্টিয়ার আদালত চত্বরে হত্যাচেষ্টা মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মহিবুল ইসলাম বাধনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত ৪৪ নম্বর আসামি। এখন পর্যন্ত এ মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেহাবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে শহরের হাউজিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ।’’

গ্রেপ্তার বাধন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি কুষ্টিয়া শহরের পেয়ারাতলা এলাকার নজরুল ইসলাম বাবুর ছেলে।

আরো পড়ুন:

এর আগে, ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর মাহমুদুর রহমান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কুষ্টিয়ার একটি আদালত থেকে মানহানির মামলায় জামিন নিয়ে বের হওয়ার সময় মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা করা হয়। আদালত প্রাঙ্গণ ছাড়ার সময় লাঠি ও ইটের আঘাতে তিনি আহত হন। তাকে বহনকারী গাড়ির গ্লাসও ভেঙে ফেলা হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাহমুদুর রহমান ও তার সহযোগীরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার মামলাটি করেন। ওই মামলায় জামিন নিতে কুষ্টিয়া আদালতে গিয়েছিলেন তিনি।

সেদিন কুষ্টিয়ায় দায়ের হওয়া মানহানির মামলায় মাহমুদুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এম এম মোর্শেদ ১০ হাজার টাকা জামানতে স্থায়ীভাবে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিন পাওয়ার পর দুপুর ১টা থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আদালত চত্বরে মাহমুদুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার ওপর হামলা চালানো হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে রক্তাক্ত হন মাহমুদুর রহমান।

ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়