ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৩ মার্চ ২০২৫ ||  ফাল্গুন ২৮ ১৪৩১

বিএম কলেজে গ্রাফিতি মুছে ফেলায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

বরিশাল সংবাদাদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫২, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫  
বিএম কলেজে গ্রাফিতি মুছে ফেলায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

শিক্ষার্থীদের আঁকা জুলাই অভ্যুত্থানের বেশ কিছু গ্রাফিতি মুছে দিয়েছে একদল শিক্ষার্থী

ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ শিক্ষার্থীদের আঁকা জুলাই অভ্যুত্থানের বেশ কিছু গ্রাফিতি মুছে দিয়েছে একদল শিক্ষার্থী। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল নিয়ে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। 

এসময় বিএম কলেজ ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের রঙে লেখা নাম ও গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়। এ ঘটনার পর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। 

ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন দুই ছাত্র সংগঠনের নেতারা। এসময় তারা কলেজ অধ্যক্ষ ড. শেখ মো. তাজুল ইসলামের কাছে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সহঅবস্থান তৈরির দাবি জানান। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রদলসহ অধিকাংশ ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বিএম কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সরকার বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে বিএম কলেজের বাম সংগঠনের নেতাদের নামে মামলা করে কার্যক্রম বন্ধ করতে চেয়েছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি ও দুই সংগঠনের নাম রাতের আঁধারে মুছে দেওয়া সেই ফ্যাসিস্ট আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। ভিন্নমত দমনের প্রচেষ্টা। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা পরিপন্থী কাজের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সহাবস্থান নষ্টের পাঁয়তারা চলছে। তাই দ্রুত এই ন্যাক্কারজনক কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে কলেজ প্রশাসনের কাছে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিএম কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক বিজন শিকদার বলেন, “এই কর্মকাণ্ড স্বৈরাচারী আচরণেরই নামান্তর। ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রগতিশীল সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এবং ছাত্র ইউনিয়ন বিগত ১৭ বছরে ছাত্রলীগের এসব আচরণ, হামলার শিকার হয়েছে। এই সময়েও এসেও ফ্যাসিবাদী আচরণের মুখোমুখি হতে হবে তা ভাবিনি।”

বিএম কলেজ ছাত্রদল নেতা ওয়ালিদ বিন সালাউদ্দিন বলেন, “ক্যাম্পাসে শতভাগ রাজনৈতিক সহঅবস্থান চায় ছাত্রদল। আমরা চাই নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ বাদে সব দল তাদের স্বাধীন মত প্রকাশ করুক। এ জন্যই জুলাই অভ্যুত্থান ঘটিয়েছি। জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতিসহ দুই ছাত্রসংগঠনের নাম মুছে ফেলা রাজনৈতিক অধিকার হরণ। এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি।”

বিএম কলেজ অধ্যক্ষ ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত দুই জনের নাম জানিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শনাক্তে কাজ শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসে যে যার মত সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে, অন্যের কাজে কেউ বাঁধা দিতে পারবে না। এমন কাজ কোন শিক্ষার্থী যেন না করে।”

ঢাকা/পলাশ/এস


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়