ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ||  ফাল্গুন ৭ ১৪৩১

টাঙ্গাইল আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত প্যানেল জয়ী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৯:১৯, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
টাঙ্গাইল আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত প্যানেল জয়ী

সভাপতি জহুর আজহার খান ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম রফিকুল ইসলাম

টাঙ্গাইল জেলা অ্যাডভোকেট বার সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে (২০২৫-২০২৬) আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল এবং আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ জন্য বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের সকল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে এ নির্বাচন পরিচালনার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মোনায়েম হোসেন খান (আলম) বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ১৪টি পদে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের কথা ছিল। 

বিএনপি-জামায়ত সমর্থিত প্যানেল থেকে এবার সভাপতি নির্বাচিত হলেন জহুর আজহার খান, আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন এ কে এম রফিকুল ইসলাম (রতন)।

আরো পড়ুন:

এ বছর বার সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হলে নির্বাচনে মোহাম্মদ শামস্ উদ্দিনের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র প্যানেল মনোনয়নপত্র কিনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা চাপের মুখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে এ বিদ্রোহী প্যানেলের প্রার্থীরাও একই পথে হাঁটেন। ফলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত হয়ে যায়।

আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতারা অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক বার সমিতিতে এসে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি তুলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। এ নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী প্যানেলের সকল প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। আওয়ামী প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন ওয়ারেজ আলী মিয়া (নান্নু) ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন মীর মাহফুজুল ইসলাম শামীম।

আওয়ামী বিদ্রোহী প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ শামস্ উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ মহি উদ্দিন মিয়া (মামুন)। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দরখাস্তে উদ্ভুত পরিস্থিতি, অসুস্থতা এবং পারিবারিক সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোনায়েম হোসেন খান (আলম) বলেন, যে সকল প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় সেই আবেদনগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। এতে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিধিমোতাবেক বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের সকল প্রার্থীকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

এ বিষয়ে বার সমিতির সভাপতি ও আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ নেতা অ্যাডভোকেট এ কে এম শামীমুল আক্তার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ঢাকা/কাওছার/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়