ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৩ মার্চ ২০২৫ ||  ফাল্গুন ২৮ ১৪৩১

হিলিতে গ্রামীণ পিঠা উৎসব

দিনাজপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৪, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১০:১৯, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
হিলিতে গ্রামীণ পিঠা উৎসব

পঞ্চম বারের মতো দিনাজপুরের হিলিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসব। পিঠার নানান স্বাদ নিতে এ উৎসবে ছিলো সব বয়সী মানুষের উপচেপড়া ভীড়। বাঙ্গালীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পিঠার সাথে পরিচয় করাতেই এমন আয়োজন করেছেন আয়োজকরা। 

শীত কিংবা গ্রীষ্ম মানেই বাঙ্গালির ঘরে ঘরে মুখরোচক পিঠাপুলির আয়োজন হয়ে থাকে। তবে কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের অনেক ঐতিহ্য। বাঙালির ঐতিহ্য নানান পিঠাপুলির সাথে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলে ধরতেই পঞ্চম বারের মতো দিনাজপুরের হিলির ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুলে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুলের আয়োজনে স্কুল চত্বরে ফিতা কেটে দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকেই পিঠা উৎসবে ছিলো নানান বয়সী মানুষের উপচেপড়া ভীড়, স্টলগুলোতে তারা নিচ্ছেন পিঠাপুলির স্বাদ। 

বিদ্যালয়ে মাঠে প্রতিটি স্টলে ধান সেমাই, ভাপা, পুলি, দুধ পুলি, পাটিসাপটা, ঝিনুক পুলি, জামাই সোহাগী, গোলাপ, কানমুচুরি, পুডিং, পায়রা, তেল পিঠা, দুধ চিতাই, মুঠা পিঠা, ক্ষীর, রসগোল্লা, কেক, গোলাপ ফুল, তেলেভাজা রসপিঠা, রোল পিঠা, লাভ পিঠা, শিম ফুল পিঠা, ডালবড়া, নারিকেল পিঠা, নকশি পিঠা, নয়নতারা পিঠাসহ প্রায় শতাধিক পিঠার পসরা। পিঠা উৎসব মাঠে ৯টি স্টলে ১০০ প্রকারের পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষরা। এমন আয়োজনে খুশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরা।

 

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, “পিঠা উৎসব আয়োজনের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। প্রতি বছর দুই দিনব্যাপী এই মেলা হয়ে থাকে। তবে এক সপ্তাহ ধরে আয়োজন হলে ভাল হতো।” 

রাজিব, সোহাগ, লাকি আক্তারসহ কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, “৫ বছর ধরে আমরা এই পিঠা উৎসব মেলায় আসি। এখানে বিভিন্ন আইটেম পিঠা পাওয়া যায়। পিঠা আমাদের খেতে খুবি ভাল লাগে। বাড়িতে হয়তো শীতকালে পিঠাপুলি তৈরি হয়, তবে মাত্র কয়েক রকম। কিন্ত এই মেলায় শতাধিক রকমের পিঠা উঠেছে। এক-এক পিঠার স্বাদ এক-এক রকমের।”

হিলির ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুলের পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “আমাদের সমাজ থেকে পিঠা হারিয়ে যাচ্ছে। পিঠা কি এবং কতো ধরনের পিঠা আছে তা অনেকে জানেই না। এখানে ৯টি স্টলে ১০০ আইটেমের পিঠা তৈরি করা হয়েছে। স্কুলের ছেলে-মেয়েরা এবং স্থানীয় অভিভাবকরা এই পিঠার সাথে পরিচিত হচ্ছে এবং এর স্বাদ গ্রহণ করতে পারছেন। পঞ্চম বারের মতো এই আয়োজন করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি, আগামীতে আরো বড় আয়োজন করা হবে। এতে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া পিঠার ঐতিহ্য ও স্বাদ ফিরে আসবে।”

ঢাকা/মোসলেম/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়