পঞ্চগড়ে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় নারী আটক, বৈঠকে হস্তান্তর
পঞ্চগড় প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই নারীকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে এক ভারতীয় নারীকে (৪২) আটক করেছে বিজিবি। পরে তাকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের জয়ধরভাঙ্গা বর্ডার আউট পোস্টের (বিওপি) বিজিবি সদস্যরা এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই নারীকে হস্তান্তর করেন।
এর আগে, সকাল ১০টায় চাকলাহাট ইউনিয়নের জাহের পাড়া এলাকার সীমান্ত পিলার ৭৬০-এর ১২ নম্বর সাব পিলার থেকে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে জয়ধরভাঙ্গা ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে।
সন্ধ্যায় নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আটকের পর ওই নারীকে ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিজিবি সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ভারতীয় নারী হিন্দিতে কথা বলছিলেন। নিজের নাম কখনো ‘শান্তি’ আবার কখনো ‘বাসন্তী’ বলে জানায়। তার ঠিকানা দিল্লী ও শ্বশুর বাড়ি বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় বলে জানায় সে। তবে তার আচার-আচরণ মানসিক ভারসম্যহীনের মত বলে জানিয়েছে বিজিবি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ভারতীয় নাগরিক আটকের বিষয়টি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ৯৩ ব্যাটালিয়নের শ্যাম ক্যাম্পের কমান্ডারকে জানায় বিজিবি। পরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিএসএস ওই নারী ভারতীয় মর্মে নিশ্চিত হয়ে ফেরত নিতে চায়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিএসএফের কাছে ওই ভারতীয় নারীকে হস্তান্তর করে বিজিবি।
বিজিবির জয়ধরভাঙ্গা ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার শহিদুল ইসলাম বলেন, “ভারতীয় এক নারী নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পরে আমাদের টহল দল তাকে আটক করে। নারীকে মানসিক ভারসমস্যহীন বলে মনে হয়েছে। পরে আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। এরই প্রেক্ষিতে বিএসএফের সাথে যোগাযোগ হলে তারা পতাকা বৈঠকে এসে ওই নারী ভারতীয় নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়। পরে তাকে ফেরত নিতে চাইলে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করেছি।”
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, “বিজিবি সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে সদা তৎপর রয়েছে। বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে বিজিবির অভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। যে কোন মূল্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে ৫৬ বিজিবি কঠোর নজরদারি নিশ্চিতের পাশাপাশি অনুপ্রবেশ বন্ধে সদা প্রস্তুত।”
ঢাকা/নাঈম/এস