ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মনিরামপুরে বাঁধ ভেঙে হাজার বিঘা ফসলি জমি প্লাবিত

যশোর (অভয়নগর) সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৫, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ০৯:৫৮, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মনিরামপুরে বাঁধ ভেঙে হাজার বিঘা ফসলি জমি প্লাবিত

বিল হরিনার ধসে যাওয়া বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কারের চেষ্টা করছেন এলাকাবাসী

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হরিনা বিলের বাঁধ ভেঙে হাজার বিঘা বোরো ধানের ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। পানি প্রবেশ করায় ভেসে গেছে মাছের ঘেরও। 

গত শনিবার ভোর রাত ৪টার দিকে বাঁধটির ২০-২৫ হাত ভেঙে যায়। এলাকাবাসী মাইকিং করে ও নিজেদের উদ্যোগে দিনভর চেষ্টা করে পানি আটকাতে ব্যর্থ হন। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তারা পানি আটকানোর চেষ্টা করেন। 

আরো পড়ুন:

 

এদিকে, বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। ভেঙে যাওয়া বাঁধ সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সেখানে উপস্থিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

এলাকাবাসী জানান, শনিবার ভোর ৪টার দিকে হরিনা বিলের মধ্যে থাকা খালের ২০-২৫ হাত বাঁধ ভেঙে যায়। এরপর থেকেই বিলের মধ্যে থাকা ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ শুরু করে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এলাকায় মাইকিং করে এবং নিজেদের উদ্যোগে শনিবার দিনভর চেষ্টা করেও পানি আটকাতে ব্যর্থ হন। ফলে সেখানে কোমর পর্যন্ত পানি জমেছে। রবিবারও চলছে পানি আটকানোর  চেষ্টা। পানির স্রোত বেশি থাকায় কোনো উদ্যোগই কাজে আসেনি। এতে করে ৯০০-১০০০ বিঘা জমিতে আবাদ করা বোরো ধান এখন কোমর পানিতে তলিয়ে আছে। 

মনিরামপুর উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য দিপক কুমার বলেন, “হরিনা বিলে বিমল ও আছাদের বিশাল আয়তনের দুটো মাছের ঘের রয়েছে। ঘের দুইটির মাঝখানে হরিনা খালের অবস্থান। খালের পাড় সরু হওয়ায় ঘের কেটে চওড়া করে পাড় বেঁধে তালের চারা রোপণ করা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “ঘের মালিকের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, বোরো মৌসুম আসলে ঘেরের পানি সেচে হরিনা ব্রিজের মুখে বাঁধ দিয়ে খালে পানি ফেলা হয়। খালটি কেশবপুর উপজেলার গাইয়েখালি গেট হয়ে নদীর সঙ্গে মিশেছে। এবার বোরো মৌসুম শুরুর আগে, বিমলের ঘেরের পানি জমির মালিকরা নিজ খরচে সেচে বোরো আবাদ করেন। ঘেরের মধ্যে সরু করে আর একটি ঘের কেটে সেখানে মাছ ধরে রেখেছেন বিমল। হরিনা খালের পানি গাইয়েখালি গেট দিয়ে না সরায় এখন খালে পানি টুইটম্বুর হয়ে আছে।”

ভুক্তভোগী কৃষক অসিম রায় বলেন, “ভবদহ জলবদ্ধতার কারণে বর্ষা মৌসুমে ধান করতে পারি না। এখন পানি কমায় ধান চাষ করেছি, তাও জলের নিচে চলে গেলো। এখন আমরা কিভাবে সংসার চালাব সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না।”

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না বলেন, “ভেঙে যাওয়া অংশ পরিদর্শন করেছি। বাঁধ নির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা প্রাদান করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করে পর্যায়ক্রমে তাদের আর্থিক সহযোগিতার জন্য প্রয়োজীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়