বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সেলিমের কন্যাকে দেখতে গেলেন ডিসি
ঝালকাঠি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান নবজাতককে দেখতে যান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ঝালকাঠির সেলিম তালুকদারের নবজাতক কন্যা সন্তানকে হাসপাতালে দেখতে গেছেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান। এ সময় তিনি সেলিম তালুকদারের স্ত্রী সুমির হাতে উপহার তুলে দেন।
শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝালকাঠির একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সুমি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
নবজাতকের নম রাখা হয়েছে রোজা। সেলিম তালুকদারের মৃত্যুর সাত মাস পর সন্তানের জন্ম হলো। বাবার স্নেহ-ভালোবাসা কখনো পাবে না রোজা। সেলিমও জেনে যেতে পারেননি তিনি বাবা হতে যাচ্ছেন।
রোজার জন্মে কষ্টের মাঝেও আনন্দিত পরিবারের সদস্যরা। রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে নবজাতককে দেখতে এসে বিভিন্ন উপহার দেওয়া হয়। সেলিম তালুকদারের স্ত্রীর হাতে উপহার তুলে দেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান। এ সময় পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কাওছার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সেলিম ছিলেন মেজো। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। গত ১৮ জুলাই কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে ঢাকায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। ১৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৩১ জুলাই রাতে তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন: মৃত্যুর সাত মাস পর বাবা হলেন জুলাই আন্দোলনে শহীদ সেলিম
নিহত সেলিমের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা শহরের টিঅ্যান্ডটি এলাকায়। তিনি নারায়ণগঞ্জের মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং মিলস লিমিটেড কারখানায় সহকারী মার্চেন্ডাইজার পদে চাকরি করতেন। মারা যাওয়ার এক বছর আগে ঝালকাঠি শহরের কৃষ্ণকাঠি মুসলিমপাড়া এলাকার মতিউর রহমান চুন্নুর মেয়ে সুমিকে বিয়ে করেন সেলিম।
সেলিম মারা যাওয়ার ৪ দিন পর সুমি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরীক্ষা করিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। সন্তানের আগমনের খবর সেলিম তালুকদার জানতেন না।
ঢাকা/অলোক/বকুল