‘আমাকে বাধ্য করা হয়েছে’ লিখে গলায় ফাঁস নিল কিশোরী
পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় সহপাঠী নোংরা মন্তব্য লিখে ফেসবুকে ছবি ছড়িয়ে দেওয়ায় পটুয়াখালীর বাউফলে নাজনিন জাহান কুমকুম (১৫) নামের এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা গ্রামের খান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। কুমকুম ওই গ্রামের নজরুল খানের মেয়ে ও পূর্ব কালাইয়া হাসান সিদ্দিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে কুমকুমকে উত্যক্ত করত প্রতিবেশী রিয়াদুল ইসলাস তাওসীন (১৫)। সেও একই বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। কুমকুমের পরিবার তাওসীনের চাচা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিষয়টি জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল শুক্রবার কুমকুম ও তার আরেক সহপাঠী কিশোরের একটি ছবির সঙ্গে নোংরা মন্তব্য লিখে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় তাওসীন। এর পরে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করে কুমকুম।
চিরকুটে কুমকুম লিখেছে, “আমি আমার নিজের ইচ্ছায় কিছু করিনি, আমাকে বাধ্য করা হয়েছে। ওই ছেলের জন্য, ওর পরিবারের জন্য আমার জীবন থেকে মনে হয় সব সুখ সাতি (শান্তি) চলে (গেছে)।”
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করে। প্রথমে পরিবার তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করাতে চায়নি। তাই, বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় কুমকুমের অপমৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়দেরকে ও পুলিশকে জানায়। মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে রাতে দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল পরিবার৷ তখন স্থানীয়রা মরদেহের গলায় ফাঁসের চিহ্ন দেখতে পায়। কুমকুমের রুমে চিরকুটের সন্ধান পান পরিবারের সদস্যরা। পরে ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করে পরিবার। রাত ১০টার দিকে পুলিশ কুমকুমের বাড়িতে যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি ভুক্তভোগীর পরিবার। তবু, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঢাকা/ইমরান/রফিক