ঢাকা     সোমবার   ২৪ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ১১ ১৪৩১

নান্দাইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি 

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৩, ১৯ মার্চ ২০২৫  
নান্দাইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি 

নান্দাইলে ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা দেয় উপজেলা প্রশাসন

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারমিনা সাত্তার এ আদেশ জারি করেন।

ইউএনও সারমিনা সাত্তার বলেন, “বিএনপির দুই পক্ষের উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য শহীদ স্মৃতি আর্দশ ডিগ্রি কলেজ মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

এলাকাবাসী জানান, নান্দাইল উপজেলা সদর শহীদ স্মৃতি আর্দশ ডিগ্রি কলেজ মাঠে আজ সন্ধ্যায় ইফতার পার্টির আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইয়াসের খানের নেতৃত্বাধীন কমিটির নেতাকর্মীরা। একই সময়ে ওই স্থানে ইফতার পার্টির আয়োজন করে বিএনপির পদ বঞ্চিত আজিজুল হক পিকুলের সমর্থকরা। আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় দুই পক্ষ অবস্থান নেয়।

বিষয়টি জানতে পেরে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার ও নান্দাইল মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. মুজাহিদুল ইসলাম নান্দাইল সরকারি শহীদ স্মৃতি আর্দশ ডিগ্রি কলেজ মাঠে অবস্থান নেন। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়।

এসময় উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান রতন, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন ফেরদৌস, যুবদল নেতা আবু হুরায়রাসহ উভয় পক্ষের ১০-১২ জন আহত হন। লাদেন মিয়া নামের এক যুবদল নেতা গুরুতর আহত হলে তাকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে জানিয়ে তাৎক্ষনিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এনামুল কাদির বলেন, “পূর্ব নির্ধারিত স্থানে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আমরা ইফতারের আয়োজন করি।  হঠাৎ করে পিকুল ও তার লোকজনকে নিয়ে হামলা করে। আমাদের দলের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে তারা।”

পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আজিজুল হক পিকুলের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, “উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করছিল। অপরদিকে পদবঞ্চিত বিএনপি নেতাকর্মীরা একই স্থানে ইফতার করার আয়োজন করে। এ নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় সেখানে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার ১৪৪ ধারা জারি করেন। এখন পরিস্থিত স্বাভাবিক রয়েছে।”

ঢাকা/মিলন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়