ধর্ষণের ঘটনা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: নাহিদ
পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হল রুমে সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলছেন নাহিদ ইসলাম।
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “পটুয়াখালীর দুমকিতে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের ঘটনায় দুইজন আসামির নাম শোনা গেছে। এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি যে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপর আসামিকে গ্রেপ্তার করতে হবে। শুধু এই ঘটনা নয়, এ ধরনের ঘটনা রোধ করার জন্য কঠোরতম শাস্তি ব্যবস্থা করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “সরকার যে আইন পরিবর্তনের চিন্তা-ভাবনা করছে বা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা চাই যে সেটা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হয়।”
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হল রুমে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে তিনি পটুয়াখালীর দুমকিতে ধর্ষণের শিকার হওয়া জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের কন্যাকে হাসপাতালে দেখতে যান।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. তাসনিম জারা বলেন, “অপরাধ যারা করছে, তারা সমাজে ঘুরে বেড়াবে। আর যারা নির্যাতিত, তাদের কাঁদতে কাঁদতে বিচার চাইতে হবে। সমাজে এমনটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই পরিস্থিতিকে আমাদের রূপান্তরণ করতেই হবে। যারা দোষী তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিগত বছরগুলোতে যেমন বিচারহীনতার সংস্কৃতি ছিল, সেটা থেকে আমাদের বের হতেই হবে।”
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, “ভূক্তভোগী বলেছেন-‘আমি মেয়ে হিসেবে বিচার চাই না। আমি চাই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হিসেবে যেন আমার জন্য ন্যায় বিচার হয়।’ আমাদের মনে রাখতে হবে যদি ন্যায় বিচারে দেরি হয়, সেটা এক ধরনের অন্যায়ের পক্ষ নেওয়া। ন্যায় বিচার প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার।”
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, “আইনগতভাবে এনসিপির পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা দেওয়া প্রয়োজন বা দেওয়া দরকার আমাদের দলের পক্ষ থেকে দিব। যেন এই মামলার সুষ্ঠু বিচার হয়। যারা আসামি তারা যেন ন্যায় বিচার পায় অর্থাৎ তারা যদি দোষী সাব্যস্ত হয়, সেটাও ন্যায় বিচারের মাধ্যমে হবে। সুতরাং এখানে আসামিপক্ষ ও বাদীপক্ষ সকলেই যেন ন্যায় বিচার পায়।”
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগি গ্রামের জলিল মুন্সীর বাড়ির নির্জন বাগানে জুলাই ’২৪ আন্দোলনে ঢাকায় নিহত পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের শহীদ জসীম হাওলাদারের মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে সাকিব মুন্সী (১৯), সিফাত মুন্সী (২০) ও ইমরান মুন্সী (১৯)।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই পরের দিন বুধবার থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দেন। পুলিশ বিকাল ৩টায় তার মামলা গ্রহণ করে। গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত সাকিব মুন্সিকে।
পুলিশ জানায় অপর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগী ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঢাকা/ইমরান/এস