ঢাকা     সোমবার   ২৪ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ১১ ১৪৩১

হামলা-ভাঙচুর মামলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিসহ গ্রেপ্তার ২

পিরোজপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ২২ মার্চ ২০২৫   আপডেট: ২২:৩০, ২২ মার্চ ২০২৫
হামলা-ভাঙচুর মামলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিসহ গ্রেপ্তার ২

জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি মুসাব্বির মাহমুদ সানি

পিরোজপুরে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি মুসাব্বির মাহমুদ সানি ও তার সহযোগী মিলন শিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে পিরোজপুরের কাপুড়িয়া পট্টি এলাকার একটি ভবনের চতুর্থ তলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিরোজপুর সদর থানার ওসি আব্দুস সোবহান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার মুসাব্বির মাহমুদ সানি পিরোজপুর সদর উপজেলার উত্তর মাছিমপুর গ্রামের মো. কিছলুর ছেলে। মিলন শিকদার একই উপজেলার উত্তর নামাজপুর গ্রামের লিটন শিকদারের ছেলে। মুসাব্বির মাহমুদ সানি পিরোজপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি।

আরো পড়ুন:

ওসি আব্দুস সোবহান বলেন, “গত শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে পিরোজপুরে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদে হামলা, ভাঙচুর ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের হওয়া একটি মামলায় মুসাব্বির মাহমুদ সানি ও তার সহযোগী মিলন শিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুসাব্বির মাহমুদ সানির বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।”

এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলার নির্মাণাধীন মডেল মসজিদে মুসাব্বির মাহমুদ সানিসহ ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল হামলা, ভাঙচুর ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটান। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা করেন।  

থানায় দায়ের হওয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন ধরে অভিযুক্ত মুসাব্বির মাহমুদ সানিসহ নাম না জানা কয়েকজন এসে উপজেলা মডেল মসজিদের কাজ বন্ধ করে দিতে চান। কাজ চালানোর জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। অভিযোগকারী চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্ত মুসাব্বির মাহমুদ সানিসহ ২০ থেকে ২৫ জন এসে অতর্কিত হামলা চালায় এবং অভিযোগকারী শহিদুল ইসলামের থাকার জায়গা ভাঙচুর করে ৫ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নেয়। এসময় এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

থানায় অভিযোগকারী নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইজি-এমকেবি-এমআরবি (জেভি) এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “ওইদিন দুপুরে মুসাব্বির মাহমুদ সানিসহ অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জন পিরোজপুরের নির্মাণাধীন সদর উপজেলা মডেল মসজিদে এসে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে তারা আমার থাকার রুমে হামলা চালায়। তারা ক্যাশ বক্স ভেঙে নগদ ৫ লাখ টাকা, সিসিটিভি ফুটেজ গোপন করতে কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক, ১২টি হ্যালোজেন লাইট নিয়ে যায়। এসময় শ্রমিকদের থাকার ঘরও ভাঙচুরসহ শ্রমিকদের মারধর করা হয়।”

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান বলেন, “হঠাৎ তারা এসে হামলা চালায়। তাদের হাতে হামার, চাইনিজ কুড়াল ও রড ছিল। তারা সেগুলো দিয়ে জিনিসপত্র ভাঙা শুরু করে। আমাকে মারধর শুরু করে। আমাদের সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে এবং শ্রমিকের বেতনের জন্য রাখা ৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়।”

ঢাকা/তাওহিদুল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়