ঢাকা     রোববার   ৩০ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ১৭ ১৪৩১

বগুড়ায় বিএনপি নেতাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫১, ২৩ মার্চ ২০২৫  
বগুড়ায় বিএনপি নেতাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ধুনট উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহীন

বগুড়ার ধুনট উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) শরিফুল ইসলাম খোকন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। 

বাদী শরিফুল ইসলাম খোকন সমন্বিত গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ও মেসার্স খোকন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী। তিনি বেলকুচি গ্রামের বাসিন্দা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাঙালি, করতোয়া, ফুলজোড়, হুরাসগর নদী পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সরকারিভাবে উপজেলার শাহদহ এলাকায় মাটি-বালু উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীতে দরপত্রের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যবসায়ীকে নদীর তীর এলাকা থেকে ১৮ লাখ ঘনফুট মাটি-বালু অপসারণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সেই বালু অপসারণের কাজে তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রফিকুল ও তার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১৬ মার্চ বিকেল ৩টার দিকে শাকদহ এলাকায় বালু পয়েন্টে গিয়ে তার (শরিফুল ইসলাম) প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোয়েল সরকারকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় গত ২১ মার্চ শরিফুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। 

মামলার বাদী শরিফুল ইসলাম খোকনের অভিযোগ, থানায় মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা শাকদহ পয়েন্ট থেকে বালু অপসারণ বন্ধ করে দিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, “বাঙালি, করতোয়া, ফুলজোড়, হুরাসাগর নদী পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে নদীর সীমানা ছাড়াও স্থানীয় কৃষকের জমি থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর মধ্যে মেসার্স সেলিম ট্রেডার্স এবং বিজয় এন্টারপ্রাইজ নামে দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গত বছরের ২১ আগস্ট  ৩৫ লাখ টাকায় ২০ লাখ ঘনফুট বালু কিনে নেওয়া হয়। একই বালু গত ৩০ অক্টোবরে ক্রয় দেখিয়ে শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ক্রয় করেছেন বলে দাবি করছেন। এই দাবির আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। চাঁদাবাজি কিংবা ছিনতাই নয়, নিলামে কেনা বালুর মালিকানা নিয়ে হয়রানি করতেই থানায় মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।”

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, “মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হননি। পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।” 

ঢাকা/এনাম/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়