যমুনা সেতু মহাসড়কে বাড়ছে চাপ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

অভিযোগ রয়েছে, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে বাড়ছে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ। যানজট না থাকায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। তবে অভিযোগ রয়েছে, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা থেকে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ভোর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করে। যানবাহনের চাপ বাড়লেও যানজট না থাকায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে মহাসড়কের নগরজলফৈ, রাবনা ও এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
ঘরমুখো মানুষ বলছে, ৫০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন যাত্রীরা।
ষাটোর্ধ্ব হেনা বেগম বলেন, “স্বাভাবিক সময়ে সিরাজগঞ্জের ভাড়া ৫০ টাকা। আজকে দুইশ’ টাকা দাবি করছে।” অপর যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, “৩০০ টাকার ভাড়া ৬০০ টাকা চাচ্ছে বাসের সহকারীরা। ঈদকে কেন্দ্র করে আমাদের গলা কাটা হচ্ছে।”
পাবনাগামী রহিম মিয়া নামের এক বাস চালক বলেন, “আগে ৩০ টাকা চাঁদা দিলেও আজকে ৫০ টাকা দিলেও নিচ্ছে না। তারা ৮০ টাকা চাঁদা দাবি করছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
অপর চালক রুস্তম আলী বলেন, “ঢাকা থেকে যমুনা পর্যন্ত আসতে সর্বোচ্চ আড়াই ঘণ্টা সময় লেগেছে। মহাসড়কে গাড়ির চাপ আছে।”
যমুনা সেতু নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, স্বাভাবিক সময়ে যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৯৭ টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫০ টাকা।
তিনি আরও জানান, স্বাভাবিক সময়ে সেতুর উভয় পাশে ১২টি বুথে টোল আদায় করা হলেও ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আলাদা মোটরসাইকেলের লেনসহ ১৮টি বুথে টোল আদায় করা হবে।
যমুনা সেতু পূর্ব থানার এসআই নাজিম উদ্দিন বলেন, “বিকেল থেকে মহাড়কের মির্জাপুরের গোড়াই হতে সেতু পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার এলাকায় সাড়ে ৭০০ পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও মহাসড়কে দুর্ঘটনা কবলিত বা বিকল হওয়া যানবাহ দ্রুত অপসারণ করতে গুরত্বপূর্ণ পয়েন্টে ছয়টি রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”
ঢাকা/কাওছার/এস