পটুয়াখালীতে ২২ গ্রামের ২৫ হাজার মানুষের ঈদ উদযাপন
পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

স্থানীয়ভাবে এরা চট্টগ্রামের এলাহাবাদ সুফিয়া ও চানটুপির অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পটুয়াখালীর ২২ গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ উদযাপন করেছেন আগাম ঈদ।
রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল পৌনে নয়টায় কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের উত্তর নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া শাহ্সূফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া জেলার সদর উপজেলার ৪ গ্রামে, কলাপাড়ার ৮ গ্রামে, রাঙ্গাবালির ২ গ্রামে, গলাচিপার ৩ গ্রামে, দুমকির ২ গ্রামে ও বাউফল উপজেলার ৩ গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে এসব গ্রামে সকাল থেকে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। অতিথিদের মিষ্টান্ন সহ বিভিন্ন পিঠাপুলে দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে এরা চট্টগ্রামের এলাহাবাদ সুফিয়া ও চানটুপির অনুসারী হিসেবে পরিচিত। প্রায় ১০০ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদ পালন করে আসছেন তারা।
নিশানবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ছমেদ আলী বলেন, “আমরা আসলে পৃথিবীর যে কোন স্থানে চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গে ঈদ পালন করে আসছি। এবারও পালন করেছি। নামাজের পরে বিশেষ মোনাজাতে সবাই সবার জন্য দোয়া করেছি।”
পটুয়াখালীর বদরপুর দরবার শরীফে নামাজ আদায় করতে আসা ফরিদ হোসেন বলেন, “ইউরোপ আমেরিকাসহ পৃথিবীর যে কোন দেশে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা ঈদ পালন করি। এবছরও পালন করেছি। আমরা দিনটি উৎসবের মধ্য দিয়ে পালন করছি।”
উত্তর নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া শাহ্সূফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের পরিচালক নিজাম বিশ্বাস বলেন, “প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করেছি৷ এর আগে আমাদের গতকাল রাত দশটার দিকে চট্রগ্রামের দরবার শরীফ থেকে জানানোর পর ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছি। নামাজ শেষে দেশ ও উম্মাহর শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। নামাজে আমাদের তরিকতের হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেছে।”
ঢাকা/ইমরান/এস