ঢাকা     সোমবার   ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ১ ১৪৩২

লাঙ্গলবন্দে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসব শুরু 

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৯, ৫ এপ্রিল ২০২৫   আপডেট: ১২:১৫, ৫ এপ্রিল ২০২৫
লাঙ্গলবন্দে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসব শুরু 

লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসব

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসব। 

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে ৫ এপ্রিল রাত ১২টা ৫১ পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে। স্নানের লগ্ন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবে মেতে উঠেছে দেশ-বিদেশ থেকে আসা লাখো পুণ্যার্থী।

স্নানোৎসবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ প্রশাসনসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও স্নানোৎসব এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

মন্ত্র পাঠ করে ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা, হরিতকি, ডাব, আম্রপল্লব নিয়ে পুণ্যার্থীরা স্নানে অংশ নিয়েছেন। লগ্ন শুরুর পরপরই পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে লাঙ্গলবন্দের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। পাপমোচনের বাসনায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পুণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠেছে লাঙ্গলবন্দ।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, (মহাভারতের বর্ণনামতে) পরশুরাম মুনি পাপমুক্তির জন্য ব্রহ্মপুত্র নদে যে স্থানের জলে স্নান করেছিলেন, তা লাঙ্গলবন্দে অবস্থিত। সেই থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস এ সময়ে ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান খুবই পুণ্যের। 

এদিকে স্নানোৎসব উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।

লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব উদযাপন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস কর্মকার জানান, পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দেড় হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এখানে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল ও ভুটানসহ দেশ বিদেশের প্রায় ১০ লক্ষাধিক পুণ্যার্থী অংশ নেবেন। সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। স্নান এলাকায় ১৯টি স্নান ঘাটলায় কাপড় পাল্টানো, চিকিৎসা সেবায় ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র, শৌচাগার, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও স্নান এলাকায় টহলে থাকবেন সেনাবাহিনী,র‍্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড।

স্নানোৎসব এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা। জেলা প্রশাসক জানান, আগত পূণ্যার্থীদের সুবিধার্থে ১৬০টি শৌচাগার স্থাপন করা হয়েছে। স্নান এলাকায় নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। সিসিটিভির পাশাপাশি পর্যবেক্ষণের জন্য রয়েছে ড্রোন।

ঢাকা/অনিক/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়