ঢাকা     শনিবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩২

অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৭, ১৫ এপ্রিল ২০২৫  
অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন ওরফে সৈয়দ মিলন

অস্ত্র মামলায় ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝালকাঠি জেলার সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন ওরফে সৈয়দ মিলনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। বিষয়টি নিশ্চিত করছেন ঝালকাঠির পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মাহেব হোসেন।

এর আগে, আজ ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন হাদিসুর রহমান। বিচারক আবেদনটি নাকচ করেন।  

আরো পড়ুন:

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ হাদিসুর রহমানকে প্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত ১৮ মার্চ ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-০১) বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম স্বাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার সময় হাদিসুর রহমান পলাতক ছিলেন। 

সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন ওরফে সৈয়দ মিলন পূর্ব চাঁদকাঠি ইউসুফ আলী খান সড়কের সৈয়দ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত দেড়টায় ঝালকাঠি শহরের ডাক্তার পট্টি এলাকায় হাদিসুর রহমানের মালিকানাধীন সৈয়দ টাওয়ারের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। সেখানে রান্না ঘরের তাক থেকে একটি দেশি তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ হাদিসুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি ঝালকাঠি সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন অস্ত্র আইনে হাদিসুর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ঝালকাঠি থানার ওসি খলিলুর রহমান একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ৮ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে রায় দেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌশলী পিপি মাহেব হোসেন। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মল্লিক নাসির উদ্দীন কবীর।

ঝালকাঠির পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহেব হোসেন বলেন, “আদালত সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিকে সাজাপ্রদান করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছেন। আজ হাদিসুর রহমান আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। বিচারক আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”

আসামি পক্ষের আইনজীবী মল্লিক নাসির উদ্দীন কবীর বলেন, “আসামির অনুপস্থিতিতে মামলার রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।”

ঢাকা/অলোক/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়