গেজেট থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন জুলাইযোদ্ধার
ফরিদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
আবরাব নাদিম ইতু গতকাল বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেনের কাছে জুলাই গেজেট থেকে নাম প্রত্যাহারের অবেদন জমা দেন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়ন না হওয়ার অভিযোগ তুলে স্বেচ্ছায় সরকারি গেজেট থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন আবরাব নাদিম ইতু (২৭) নামে এক জুলাইযোদ্ধা।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে তিনি এই আবেদন জমা দেন। জেলা প্রশাসকের (ডিসি) পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেন আবেদনপত্রটি গ্রহণ করেন।
আবরাব নাদিম ইতু ফরিদপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা। গেজেট নম্বর- ২৪৮৯।
নাম প্রত্যাহারের আবেদনে আবরার নাদিম ইতু উল্লেখ করেন, তিনি জুলাইয়ের যৌক্তিক আন্দোলনে আহত হয়েছিলেন। দুঃখের সঙ্গে তিনি লক্ষ্য করছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাইয়ের যে মূল চেতনায় দুর্নীতি ও লুটপাট মুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছিল, এক বছরেও তারা তা করতে পারেনি। সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও বিভিন্ন অসংগতিমূলক কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
আবরার নাদিম ইতু ফরিদপুরের চিত্র তুলে ধরে বলেন, “ফরিদপুরে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও সেক্টরে আগের মতোই অনিয়ম বহাল রয়েছে। একটি সিন্ডিকেটও ভাঙেনি, সেই সঙ্গে অনিয়মও থেমে নেই, যা আপনারা সবাই অবগত আছেন। তাই আমি আমার নাম সরকারি গেজেট থেকে প্রত্যাহার এবং মাসিক ভাতা (যদিও আমি নেইনি) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করলাম।”
নাম প্রত্যাহারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা যে জন্য আন্দোলন করেছিলাম, তার কোনো প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। চারদিকে নিজেদের বন্দোবস্ত চলছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এবং স্থানীয় সরকারগুলো জুলাইয়ের যে চেতনায় দুর্নীতি ও লুটপাট মুক্ত দেশ গড়তে চেয়েছিল, তা এক বছরের বেশি সময়ে করতে পারেনি এবং কার্যকর পদক্ষেপ তাও নিতে পারেনি। তাই আমি সরকারি গেজেট থেকে নাম প্রত্যাহার ও সুযোগ-সুবিধা থেকেও নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেছি।”
আবেদনপত্রটি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেন বলেন, “স্বেচ্ছায় জুলাইয়ের সরকারি গেজেট এবং সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদনটি আমরা হাতে পেয়েছি। আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পদক্ষেপ নেব।”
ঢাকা/তামিম/মাসুদ