ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেটবাসীরা অন্ধকারে : শিক্ষামন্ত্রী

নাসির || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৫, ১৫ জুন ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেটবাসীরা অন্ধকারে : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘সিলেটবাসীরা শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। বেশির ভাগ সিলেটবাসীই বিদেশে চলে যাচ্ছে। বাস্তবক্ষেত্রে শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেটবাসীদের অবস্থান অন্ধকারে।’

 

সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে সিলেট বিভাগীয় চাকুরিজীবী পরিষদ ঢাকার ২০১৫-১৭ বর্ষের অভিষেক ও এ উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, ‘লেখাপড়ার দিক থেকে আমরা সিলেটবাসী খুবই খারাপ অবস্থায় আছি। সারা দেশের সঙ্গে তুলনায় আমরা পিছিয়ে আছি এবং এই অঞ্চলে ফেলের হারও বেশি। তবে আমি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সিলেট শিক্ষাবোর্ড এবং শিক্ষার উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন তা দিতে চেষ্টা করেছি সবসময়।’

 

শিক্ষামন্ত্রী দাবি করে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে গত ১০০ বছরে সিলেটে যত সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েছে, আমি দায়িত্বে আসার পর গত ছয় বছরে তার থেকে অনেক বেশি স্কুল-কলেজ তৈরি করেছি। বর্তমানে আমরা ছেলে-মেয়ের শিক্ষার হারে মোটামুটি সমতা আনতে পেরেছি। কিন্তু আমরা দেশের অন্যান্য জায়গার তুলনায় শিক্ষায় পিছিয়ে আছি।’

 

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘ক্লাস ফাইভের পিএসসি পরীক্ষা চালু করে আমি নাকি ছেলেমেয়েদের ওপর বাড়তি একটি পরীক্ষা চাপিয়ে দিয়েছি বলে অনেকে অভিযোগ করেন। কিন্তু আমি বলতে চাই, পরীক্ষা বাড়াইনি, কিংবা ছেলেমেয়েদের ওপর কোনো চাপও বাড়েনি। পরীক্ষা বরং কমেছে এবং শিক্ষার মানও বেড়েছে। আগে ছেলেমেয়েদের পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা চালু ছিল। যার ফলে পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা দিতে হতো এবং সেখান থেকে বাছাই করে ২০/৩০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হতো। এর ফলে শিক্ষার্থীদের দুটি পরীক্ষা দিতে হতো। তা ছাড়া যে শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারত না, তারা শিক্ষা থেকে বিমুখ হয়ে পড়ত। আগে ক্লাস ফাইভে দুটি পরীক্ষা দেওয়া লাগত, এখন একটি পরীক্ষা দিতে হয় এবং এখানে যারা ভাল করে তাদেরকে বৃত্তিও দেওয়া হয়েছে। সমালোচকরা এটি বুঝতে পারেনি এবং ছেলেমেয়েরা একটি সার্টিফিকেট পেয়ে গর্বের সঙ্গে বলতে পারে, তারা একটি সার্টিফিকেট পেয়েছে।’

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট বিভাগীয় চাকুরিজীবী পরিষদের সভাপতি বনমালী ভৌমিক। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য ফণী ভূষণ চৌধুরী, ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি রবি আহমেদ ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব আতিকুর রহমান আতিক।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জুন ২০১৫/নাসির/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়