ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘ভালো নেশার নাম সাংবাদিকতা’

তাসনিমুল হাসান প্রান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ভালো নেশার নাম সাংবাদিকতা’

তাসনিমুল হাসান প্রান্ত: সাংবাদিকতা কোনো চাকরি কিংবা পেশা নয়, এটি এক ধরনের ভালো লাগা, এক ধরনের ঘোর, এক ধরনের নেশা। তবে এটি মাদক বা মরণঘাতী নেশার মতো ক্ষতিকর নয়। এ নেশা ভালো কিছু করার প্রত্যয়ে। পৃথিবীর আর কোনো পেশাতেই এত স্বাধীনতা ও মানুষের জন্য কিছু করার এমন অবারিত সুযোগ মেলে না।

এ নেশা এমনই যে, ক্ষমতাসীনদের চোখ রাঙানি, মাস্তানের হত্যার হুমকিতেও সে নেশা ছোটে না। এই হুমকি তাকে প্রতিদিন আরো জেদি করে তোলে। প্রাপ্তি হিসেবে মেলে গণমানুষের বাহবা আর ভালোবাসা। বোনাস হিসেবে নিজের আত্মতৃপ্তি।

অন্য সবার মতই আমি ছেলেবেলা থেকে চারপাশের নানা বিচিত্র সব ঘটনা দেখতে দেখতে বড় হয়েছি। কোনোটা ভালো কিছু শিখিয়েছে, আবার কোনোটা হয়তো খারাপ প্রভাব ফেলেছে। তবুও ভালোটাকে গ্রহণ করার শিক্ষাটাই বেশি পেয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে অনেক ঘটনা চোখের সামনে ঘটতে দেখেও প্রতিবাদ করার বা কোনো ভালো কিছুতে নিজের যোগ্যতায় তুলে ধরা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এখন ‘সাংবাদিকতা’ সেই সুযোগ করে দিয়েছে আমাকে ও আমার মতো অনেককেই।

সাংবাদিকতায় থাকা মানুষগুলোর সাহসিকতার অনেক গল্প অনেকের কাছে শুনেছি। আর তখন থেকে ধারণাটা ঠিক এরকম ছিল যে, সাহসী হতে হলে সাংবাদিক হতেই হবে। তাই সবসময় এটাই উপলব্ধি করেছি, শিক্ষিত হওয়ার যাত্রায় একজন প্রকৃত মানুষ হয়েও গড়ে উঠতে হবে। আর সেই সুযোগ আমাকে করে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী সাংবাদিকদের সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি। শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নেয়া সম্ভব না হলেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি সাংবাদিকতার এই সুযোগ আমাকে দেয়ার ফলে সাংবাদিকতার সাথে সম্পৃক্ততা নিশ্চয় থাকবে। সেক্ষেত্রে বলা যায়, ইচ্ছে অনেকটা পূরণ হয়েছে।

আশেপাশে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার মতো অস্ত্র বা সাহস দুটোই যুগিয়েছে ‘ সাংবাদিক’এই খেতাব। আবার অদম্য সাহসিকতা এবং জয়ের গল্পগুলোও এখন তুলে ধরা সম্ভব হয়ে উঠছে।

দেশের প্রত্যেকটি মানুষ সাংবাদিকতা নামক পেশায় জড়িত না থেকেও যদি সত্যকে তুলে ধরার সাহসটুকু তাদের মধ্যে তৈরি হয়, তাহলে দেশে অন্যায় ঠেকাতে না পারলেও অন্তত অন্যায়গুলোর সুষ্ঠু বিচারের আশা রাখতেই পারেন। বিচারের দাবিতে সোচ্চার হতে পারেন। তাই আমার কাছে সাংবাদিকতা শুধু একটি পেশা নয়, এটি একটি আদর্শ। আর এই আদর্শ এমন এক নেশা যা ছেড়ে থাকা যায় না। দেশে-বিদেশে এমন অনেক উদাহরণ আছে যে, সাংবাদিকতা ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পুলিশ কিংবা প্রশাসনের বড় কর্তা হওয়ার পরেও কেউ কেউ এই পেশার প্রতি টান থেকে আবার ফিরে এসেছেন সাংবাদিকতায়।

লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,কুষ্টিয়া।

 

রাইজিংবিডি/ইবি/১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯/তাসনিমুল হাসান প্রান্ত/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়