সুচনার মাথায় মীতৈ চনু মুকুট
কলেজ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মণিপুরি কন্যা লৈফ্রাকপম সুচনা চনু ‘মীতৈ চনু-২০১৯’ (মণিপুরি কন্যা) প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
বাংলাদেশি মণিপুরিদের মধ্যে প্রথম ও একমাত্র প্রতিযোগী হিসেবে ভারতের মণিপুর রাজ্যের এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। লাইনিংথৌ সনামহি সনাপুং, মণিপুর চতুর্থবারের মতো এ আসরের আয়োজন করে। সুচনা চনু সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসই) শিক্ষার্থী।
লৈফ্রাকপম সুচনা চনু কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের তেতইগাঁও গ্রামের ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা লৈফ্রাকপম ইবুংহল সিংহ শ্যামলের কন্যা। তার মা কুঞ্জ রানী সিনহাও ছনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সুচনা ভারতের মণিপুর রাজ্যের এ আসরে যান এবং গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রথম অডিশনে ত্রিশ জনের মধ্যে স্থান করে নেন। মাসব্যাপী এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারতের আসাম, ত্রিপুরাসহ মণিপুরের অংশগ্রহণকারীদের পেছনে ফেলে তিনি বিজয়ী হন।
মণিপুরে বাংলাদেশে বসবাসকারী মণিপুরীদের সম্মান ও পরিচয় সমুন্নত করার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এ বিজয়। কারণ ‘মীতৈ চনু-২০১৯’ প্রতিযোগিতা শুধু সুন্দরী প্রতিযোগিতা নয়, এখানে প্রতিযোগীকে একজন মণিপুরী নারী, সংসার জীবন, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে মণিপুরীদের প্রচলিত সব জাতিগত প্রথার গুণ সম্বলিত হতে হয়। সবদিক দিয়ে সেরা বিবেচিত হয়ে সেরা প্রতিযোগী নির্ধারিত হয়। সাথে তার বক্তব্য উপস্থাপনের মার্জিত ভাষা, শিষ্টাচার, চলার ভঙ্গি, পোশাক, গৃহস্থালীর কাজ, জাতির প্রতি ভালোবাসা, দৈহিক গঠন, কথা বলার ভঙ্গি, চুল, মেধা (আইকিউ) সবকিছুই যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। এসব অতিক্রম করে বিজয়ী হন সুচনা।
বিজয়ী হিবেবে সুচনা পেয়েছেন ১ লাখ টাকার প্রাইজমানি ও ট্রফি, সনদপত্র, বিভিন্ন উপহার সামগ্রী।
সুচনা বলেন, ‘আমি আনন্দিত। এই অর্জনে পিতা-মাতাসহ সবাই সহযোগিতা করেছেন।’
সিলেট/রফিকুল ইসলাম/মাহি/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন