বঙ্গবন্ধু কখনো অন্যায়ের সাথে আপোস করেননি: জবি উপাচার্য

বঙ্গবন্ধু কখনো অন্যায়ের সাথে আপোস করেননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুর ছাত্রত্ব অন্যায়ভাবে বাতিল করলেও তিনি মুচলেকা প্রদান করেননি। পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর ছাত্রত্ব ফেরৎ দিতে বাধ্য হয়েছিল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ উপলক্ষে রোববার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ওয়েবিনারে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এসব কথা বলেন।

নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকের দিনেও অনেক শিক্ষার্থী পথভ্রষ্ট হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছে। বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্ন নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কিভাবে এসব অপশক্তির সাথে জড়িত হয়ে পড়ছে, তা আমার বোধগম্য নয়। স্বাধীনতার ইতিহাস সঠিকভাবে জানলে ও চর্চা করলে নতুন প্রজন্ম অপশক্তির কবল থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে এবং দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষকদের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধাবোধ ছিল। কিন্তু অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বঙ্গবন্ধুর সঠিক জীবনী নিয়ে আলোচনা করতে চান না। এতে করে শিক্ষার্থীরা বাঙালি জাতির স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে না।

এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর সঠিক জীবনাদর্শ জেনে, স্ব-স্ব অবস্থান থেকে তাঁর আদর্শ ধারণ ও লালন করে দেশ গঠনের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

এছাড়াও আলোচনা সভায় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মনিরুজ্জামান,  বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি  অধ্যাপক ড. মো.  নূরে আলম আব্দুল্লাহ, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসেন, কর্মচারী সমিতির সভাপতি এরশাদ মিয়া ও সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, সাংবাদিক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।