ধীরগতির ইন্টারনেট, চরম ভোগান্তিতে বেরোবি শিক্ষাথীরা
বেরোবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ৩টি আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবনগুলোতে ধীরগতির ওয়াইফাই ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষাথীরা। তাদের অভিযোগ, ফোনে নেট সংযোগ দেখালেও কোনো ব্রাউজারে ঢুকতে পারছেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, কোনো কোনো হলে ইন্টারনেটের যন্ত্রাগুলো নষ্ট হয়ে আছে। অভিযোগ করেও সমাধান পাচ্ছেন না তারা। আর হলের রুমগুলোতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবস্থা থাকলেও ধীর গতির কারণে শিক্ষার্থীরা কোনো ব্রাউজারে ঢুকতে পারছেন না।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়াইফাই ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের কোনোটার গতি ভালো না। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের। ইন্টারনেট সংযোগ একদিন থাকে তো চারদিন থাকে না। আর থাকলেও ধীরগতি হওয়ায় একাডেমিক পড়াশোনার কাজটুকু ভালোভাবে করতে পারছি না।’
শহীদ মুখতার ইলাহি হলের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোনো অভিযোগ করেও সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের রাউটার থাকলেও সেগুলোর গতি খুব কম। কোনো ধরনের সাইটে আমরা ঢুকতে পারছি না। পড়াশোনাসহ থিসিসের তথ্য সংগ্রহের জন্য বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে আমাদের।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সোহেল রানা বলেন, ‘ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনগুলোতে যে রাউটার রয়েছে, সেগুলো থেকে ইন্টারনেট সুবিধা ঠিকমতো পাওয়া যায় না। সিলেবাসের অনেক কিছুই স্যাররা পড়ান না, সেগুলো জানার জন্য ওয়াইফাই ব্যবহার করা যায়। কিন্তু দশবার চেষ্টা করে একবার কানেক্ট হলেও ধীরগতির কারণে তাও করা সম্ভব হচ্ছে না।’
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের হলেও একই সমস্যা চলছে হল চালুর পর থেকেই। আমাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। দ্রুত এর প্রতিকার চাই।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সেলের নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার বেলাল বলেন, ‘কিছুদিন যাবত অভিযোগ শুনছি, আমাদের টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আশা করি দ্রুত সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে আমরা উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। এই সমস্যা খুব দ্রুতই সমাধান হবে।’
হিমেল/মাহি