ঢাকা     সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৮ ১৪৩১

রাবিতে প্রক্সি ও প্রবেশপত্রের ছবি পরিবর্তন করায় আটক ৩

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৮, ৩০ মে ২০২৩  
রাবিতে প্রক্সি ও প্রবেশপত্রের ছবি পরিবর্তন করায় আটক ৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে দুজন আটক হয়েছেন। এ ছাড়া প্রবেশপত্রে ছবি পরিবর্তনের অভিযোগে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

আটক তিনজনের মধ্যে একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। 

মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে ‘এ’ ইউনিটের প্রথম শিফটের পরীক্ষা চলাকালে সন্দেহজনকভাবে তাঁদের আটক করা হয়। আটককৃতদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরো পড়ুন:

প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক দুজন হলেন- মো. হোসাইন ও মো. স্বপন হোসাইন। 

আটক হোসাইন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার আব্দালপুর গ্রামের কাওসার হোসেনের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ৪২৪ নম্বর কক্ষে জাহিদ হাসান সিয়াম নামের এক পরীক্ষার্থীর হয়ে প্রক্সি দিচ্ছিলেন।

আটক স্বপন হোসাইন নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার চকগোপীনাথ গ্রামের মো. মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তিনি কৃষি অনুষদ ভবনের ১৩৫ নম্বর রুমে তানভীর আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন।

আটক অপর ব্যক্তির নাম আব্দুর রাকিব। দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষায় তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ৩৩৭ নম্বর কক্ষ থেকে আটক করা হয়। তিনি মূল পরীক্ষার্থী। তবে তাঁর হয়ে প্রক্সি দেওয়ার জন্য অন্য ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করেন। সে অনুযায়ী প্রবেশপত্রের ছবিও পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু তার বাবার কাছে প্রক্সির জন্য টাকা চাইতে গেলে তিনি দেননি। তাই রাকিব নিজেই পরীক্ষা দিতে আসেন। মূলত ছবি পরিবর্তনের অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, ‘আমরা প্রথমে সন্দেহজনকভাবে দুজনকে আটক করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন। পরে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি ছবি পরিবর্তন করে পরীক্ষা দিতে এসেছেন। তাঁর হয়ে অন্য কারও পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। এই তিনজনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

কেয়া/ মাসুদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়