ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

জাবিতে ঢালাইয়ের সময় ধসে পড়েছে নির্মাণাধীন মসজিদের ছাদ

সাভার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৪, ১৯ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ২০:০৯, ১৯ আগস্ট ২০২৩
জাবিতে ঢালাইয়ের সময় ধসে পড়েছে নির্মাণাধীন মসজিদের ছাদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সালাম বরকত ও আ ফ ম কামালউদ্দিন হল সংলগ্ন নির্মাণাধীন মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের সময় ধসে পড়েছে।

শনিবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে ঢালাইয়ের কাজ শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই এই ঘটনা ঘটে বলে জানান নোমান মিয়া নামে এক নির্মাণ শ্রমিক। ছাদ ধসে পড়ার পর কাজ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে ছাদ ধসে পড়ার খবর শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম, দুই হলের প্রাধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টরা পরিদর্শনে আসেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারদের উপস্থিতিতে তৎক্ষণাৎ হওয়া মিটিংয়ে সম্পূর্ণ ছাদের বিম খুলে আবার নতুন করে বিম লাগানোর সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান মসজিদটি নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফরমিলা আক্তার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাইয়ান বিন শাহজাহান।

তিনি বলেন, “সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ দুই হলের প্রাধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুরো ছাদের বিম খুলে নতুন করে লাগাতে হবে এবং পরে কাজ শুরুর করার কথা বলা হয়।’

ঢালাইয়ের শুরুতেই এভাবে ছাদ ধসে পড়ার কারণ জানতে চাইলে দাইয়ান বলেন, ‘আমাদের পুরো কাজই শেষ ছিল, শুধু ঢালাইয়ের কাজ বাকি ছিল। কিন্তু বৃষ্টির জন্য আমরা ঢালাইয়ের কাজ শুরু করতে পারিনি। বৃষ্টি না থাকায় আজকে কাজ শুরু করেছিলাম কিন্তু এই ঘটনা ঘটল। বৃষ্টির কারণে পানি জমে কাঠ ভিজে ছিল আর পেরেকের সঙ্গে কাঠের জোড়া লাগানো অংশ ফাঁকা হয়ে থাকতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। আর এ কারণেই এই ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।’

এতদিন বৃষ্টি হওয়ার পর হঠাৎ ছাদ ঢালাই দিলে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে এই বিষয়ে আগে পরীক্ষা না করেই কেন ছাদ ঢালাই দেওয়া হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই প্রথম ঘটল। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে কাজ করব।’

কাজের মধ্যে নির্মাণ শ্রমিকদের কোনোরকম গাফিলতি ছিল না বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘উপাচার্য স্যারসহ আমরা কয়েকজন আজ সকালে ধসে পড়া ছাদ পরিদর্শন করেছি। এতদিনের টানা বৃষ্টির জন্য মূলত এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা আবার নতুন করে কাজ শুরু করতে বলেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল) আহসান হাবীবের কাছে বিষয়টি জানার জন্য মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সার্বিক বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

আরিফুল/ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়