ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

শোকের মাসে সংঘর্ষের কালো দাগ ইবি ছাত্রলীগের গায়ে

ইবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৬, ২০ আগস্ট ২০২৩  
শোকের মাসে সংঘর্ষের কালো দাগ ইবি ছাত্রলীগের গায়ে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা শেষে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।হাতাহাতি, ছুরিকাঘাত সবমিলিয়ে এক বেপরোয়া চরিত্রে শোকের মাসে ইবি ছাত্রলীগ।

রোববার (২০ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগানে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে জড়ায় ইবি শাখা ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের প্রায় কয়েকশো নেতাকর্মী। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও দফায় দফায় হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়ে সংঘর্ষের কালিমা গায়ে জড়ান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে ২ জন গুরুতরসহ মোট ৫ জন আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, অনুষ্ঠান শেষে মিলনায়তনের বাইরে নেতাকর্মীরা একত্র হতে থাকলে ছাত্রলীগের একপক্ষ অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় জিয়া হল ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও শেখ রাসেল হলের নেতাকর্মীদের মাঝে এই সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী আকিব রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মুক্তারিক সাবিককে ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হয় সে।

এ বিষয়ে আহত মুক্তারিক সাবিক বলেন, সিঁড়িতে নামার সময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটলে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী এসে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আকিব নামের শিক্ষার্থী আমাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে আমার বন্ধু ও সিনিয়ররা আমাকে উদ্ধার করে মেডিক্যালে নিয়ে যায়।

তবে ছুরিকাঘাতের ঘটনা অস্বীকার করেছে ম্যানেজমেন্টের অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আকিব। তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি কখনোই ছুরি নিয়ে ক্যাম্পাসে যেতে পারিনা। উল্টো আমার ওপর অতর্কিতভাবে কিছু শিক্ষার্থী হামলা করে। আমি কোনোরকমে ওখান থেকে বেঁচে রুমে এসে আশ্রয় নিই।

আকিব বলেন, আমি ছাত্রলীগের একজন কর্মী। জিয়া হলে এনামুল রায়হান ভাইয়ের সঙ্গে রাজনীতিসহ শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছি।

এ প্রসঙ্গে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বন্ধুদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও হাতিহাতির ঘটনা থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। শোকের মাসে এমন একটি ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। ছাত্রলীগের কোনো কর্মী যদি এ ঘটনায় জড়িত থাকে তবে আমরা অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি সম্পর্কে শুনেছি। পূর্বসূত্রতার জের ধরে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। আমরা বিস্তারিত জেনে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিব।

যায়িদ/ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়