ঢাকা     শনিবার   ২৯ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৫ ১৪৩১

‘তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের শিক্ষাদান করছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়’

রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ২৩ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ২২:০০, ২৩ আগস্ট ২০২৩
‘তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের শিক্ষাদান করছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়’

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ দর্শনভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই প্রবণতার অন্যতম প্রধান উদাহরণ হল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে আমরা এমন শিক্ষা পরিষেবা প্রদান করছি যাতে করে শিক্ষার্থীরা তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা সম্মেলনে ‘রোল অব এডুকেশন ইন হিউম্যান ক্যাপিটেল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড হাউ ইট ইক্যুইপস স্টুডেন্টস ফর অ্যান আননোন ফিউচার’ শীর্ষক এক প্যালেন আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

রবি উপাচার্য বলেন, আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকর তা বিচার সাপেক্ষ। আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকে পরিবর্তমান বিশ্বের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা কখনও কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং এ চিত্র বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশেও পরিলক্ষিত। বর্তমানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চলমান শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট যোগ্য এবং দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারছেনা। বাংলাদেশে স্নাতকদের বেকারত্বের হার অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় বেশি। যা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার কিছুটা হতাশাগ্রস্ত চিত্র তুলে ধরে। কিন্তু এটি কেন ঘটছে? এর কারণ অনুসন্ধান জরুরি। এটি ঘটছে কারণ, আমরা আমাদের স্নাতকদের আধুনিক এবং ক্রমবর্ধমান শিল্পের চাহিদার সঙ্গে মেলাতে পারছি না। বাংলাদেশে শুরু থেকেই নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত। বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময়, বহুমাত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে শিল্প চাহিদার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিটি এডুকেশন ফ্রেমওয়ার্ক গঠন করেছে।

তিনি বলেন, এমন পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জন্য আদর্শ শিক্ষাব্যবস্থা কি হতে পারে সেটি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করে তোলার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকার আন্তঃমহাদেশীয় পদক্ষেপ নিতে পারে। যাতে আন্তঃসাংস্কৃতিক এবং বহুসাংস্কৃতিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারে। তা না হলে শিক্ষার আধুনিকায়ন সম্ভব নয়। দেশের উন্নয়ন খাতগুলোকে উন্নত করতে এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য আমাদের প্রয়োজন দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা, বিশেষায়িত শিক্ষা। যা আমাদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা ও সৃজনশীতাকে উদ্দীপ্ত করবে, সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশগত সংবেদনশীলতা তৈরি করবে। শিক্ষাকে হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই। ব্লেন্ডেড শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও এড়িয়ে যাওয়া যায় না। পরিশেষে বলা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং নীতিনির্ধারকদের নমনীয় এবং পরিবর্তনশীল অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারার মানসিকতা থাকাটাও জরুরি।  

উক্ত আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, ডিপিএস এসটিএস স্কুলের প্রিন্সিপাল ড. শিবানন্দ সিএস, সিআরআই ফেলো অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল হাসান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, এশিয়ান মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফারহাত আনোয়ার, কেমব্রিজ প্রেস ও অ্যাসেসমেন্টের দক্ষিণ এশীয় মহাপরিচালক অরুন রাজামনি ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেবিড নক্সসহ শিক্ষা ও গবেষণা সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গ।

হাবিবুর রহমান/ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়