ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

নবীনদের চোখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

শেখ শাহরিয়ার হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৪, ২৩ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ২৩:১৩, ২৩ আগস্ট ২০২৩
নবীনদের চোখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জীবন বিনির্মাণে এক স্থায়ী সূতিকাগার বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়কে। স্বভাবতই নবীন শিক্ষার্থীদের কাছে ক্যাম্পাসের বিষয়টা একটু উচ্ছ্বাসের, রোমাঞ্চের। তাদের স্বপ্নময়ী চোখে নতুন স্বপ্নে আর উদ্যমে এগিয়ে চলার প্রত্যয় নিয়েই শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় জীবন।

তেমনি হাজার ঐতিহ্য ও সম্ভাবনাকে ঘিরে নবীন শিক্ষার্থী তথা ১৮তম আবর্তনের পদচারণায় মুখরিত হতে চলেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তারা বেছে নিয়েছে দেশসেরা এই বিদ্যাপীঠকে। এমনই কিছু নবীন স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীদের জীবনের নবযাত্রার আশা আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা তুলে ধরেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক শেখ শাহরিয়ার হোসেন। 

‘আজ আমি গর্বিত জবিয়ান’
‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ এ যেন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মিশেলে এক জীবন্ত সত্তা। যে প্রাঙ্গণ বাংলা ভাষার ঐতিহ্যের কথা বলে, বাংলাদেশের ইতিহাসের কথা বলে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, প্রায় সকল ঐতিহাসিক সংগ্রামের সঙ্গেই উপর্যুক্ত প্রতিষ্ঠানটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই প্রতিষ্ঠানটি তার প্রাচীনত্ব, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং শিক্ষার গুণগত মানের হেতু আমার পছন্দের শীর্ষে অবস্থান করেছে। আমি স্বপ্ন দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজে ঘেরা অপূর্ব একটি ক্যাম্পাসের যেখানে গাছপালা, দালান-কোঠা সবকিছুর সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের গড়ে উঠবে এক অকৃত্রিম সখ্য। তারা সাক্ষী হবে শত সহস্র শিক্ষার্থীর সংগ্রাম ও সফলতার। আমি আরও স্বপ্ন দেখি, জবি একদিন বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব পরিমণ্ডলে অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে বিবেচিত হবে। আর সেই আকাঙ্খিত অবস্থানে পৌঁছাতে সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ এবং সিনিয়রদের সঙ্গে এই জটাযুক্ত পথের একনিষ্ঠ যাত্রী হতে আমরা ১৮তম ব্যাচ বদ্ধপরিকর। ফলশ্রতিতে বিশ্বব্যাপী আমরাই একদিন সগর্বে ‌বুক ঠুঁকে বলতে সমর্থ হবো ‘আমরা জবিয়ান, আমরাই সেরা’।
- রবিউল আওয়াল পারভেজ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।

‘স্বপ্ন যখন সত্যি হলো’
এইচএসসি পরীক্ষার পর প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার। আমারও এর ব্যতিক্রম ছিল না। তাই এইচএসসি পরীক্ষার পর পরই পরিশ্রম করার মানসিকতা ও স্বপ্ন পূরণের নেশা নিয়ে ভর্তি যুদ্ধে নেমে পড়ি। কারণ এই ভর্তি যুদ্ধের প্রতিযোগিতায় পরিশ্রমী না হলে টিকে থাকা সম্ভব নয়। আল্লাহ পরিশ্রমীকে কখনো নিরাশ করেন না। তাইতো আমি আমার পরিশ্রমের প্রতিদান পেয়েছি। জবির মতো দেশসেরা ক্যাম্পাসের একটা অংশ হতে পেরেছি। বাবা-মাকে এই সুখবর দিতে পেরে আমি নিজেও আনন্দিত এবং সবাই খুব খুশি। বাবা-মা, আমার সকল শিক্ষক ও বন্ধুদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ তাদের সাপোর্ট ও অনুপ্রেরণায় এতো দূর এগিয়ে এসেছি। তবে সবার কাছে একটি কথা শুনে এসেছি যে, জবির ক্যাম্পাস ছোট। তাদের বলবো, আমরা সবাই কিন্তু মায়ের গর্ভের ছোট জায়গা থেকে বেড়ে উঠেছি। শত সীমাবদ্ধতার পরেও জবিয়ানরা সাফল্যের সঙ্গে বিচরণ করছে। এই বিষয়টা আমাকে জবির প্রতি খুব আকৃষ্ট করেছে। পর্যাপ্ত শিক্ষক ও সেশনজট নেই বললেই চলে। এই বিষয়টিও বিবেচনায় ছিল। এছাড়াও জবির প্রতি সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে জবির অবস্থান। জবি ঢাকায় হওয়ায় পারিপার্শ্বিক সুবিধা রয়েছে এবং আমি পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবো, যা আমার অভিজ্ঞতা বাড়াবে। পরিশেষে, ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক ও সিনিয়রদের কাছে সহায়ক মনোভাব ও ভালোবাসা কামনা করছি।
- সামিয়া জামান, ইতিহাস বিভাগ।

‘সম্ভাবনার দ্বার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’
দেশের প্রাণকেন্দ্র রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী, সফল এবং সম্ভাবনাময় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম একটি। ২০০৫ সালে নব্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নিয়ে মাত্র সাড়ে ৭ একর আয়তন এর উপর দাঁড়িয়ে দেশের শিক্ষাঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়টি যে ভূমিকা রেখে চলেছে, তা এক কথায় অনবদ্য। ছয়বার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া সাঁতারু ব্রজেন দাস, চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হান, অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান প্রমুখ বিখ্যাত ব্যক্তিদের পদচারণা ছিল বুড়িগঙ্গার তীরবর্তী এই বিদ্যাপীঠে। গুচ্ছে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থাকা সত্ত্বেও এই বিশ্ববিদ্যালয়টির নীরব, প্রাণবন্ত পরিবেশ এবং তুলনামূলক পরিমিত রাজনীতি আমাকে আকৃষ্ট করেছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় সুনিপুণ, দক্ষ, সঠিক বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন, সৎ ও সাহসী মানুষ গড়ার কারিগর। তেমনি এই সুন্দর, প্রাণবন্ত, বিদ্যাপীঠের প্রতি প্রত্যাশা আমাদেরকেও যেন তেমন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে অবদান রাখে। সিনিয়রদের থেকে একমাত্র প্রত্যাশা থাকবে আমাদেরকে জঘন্য, নিকৃষ্ট, মানসিক পীড়াদায়ক র‍্যাগিং থেকে মুক্তি দিয়ে যেন স্নেহের দৃষ্টিতে দেখে। সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে দেশের শিক্ষা, গবেষণা, সাহিত্য, সংস্কৃতির প্রাঙ্গন ভরে উঠুক প্রাণাধিক প্রিয় বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের পদচারণায়। সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে অপ্রতিরোধ্য গতিতে প্রিয় বিদ্যাপীঠ পৌঁছে যাক দেশের সর্বোচ্চ শিখরে এটাই প্রত্যাশা।
- ওমর ফারুক জিলন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।

‘জবিকে গর্বিত করতে চাই’
নিজের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য উচ্চশিক্ষার প্রবেশ পথে গুচ্ছ অন্তর্ভুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পদার্পণ। এই ছোট ক্যাম্পাস ঢাকার প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত, যা শিক্ষার্থীদের জীবনমুখী ও আত্মনির্ভর হতে শিক্ষা দান করে এবং জীবনের বাস্তবিক সত্যতার অভিজ্ঞতা অর্জনের সহায়ক। সেটাই আমাকে আকৃষ্ট করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আপন করে নিতে। স্বপ্ন পূরণের প্রথম হাতিয়ার হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে যেহেতু আপন করে নিয়েছি, তাই আমি চেষ্টা করবো অন্ততপক্ষে একজন আদর্শবান মানুষ হওয়ার। একজন বড় মাপের সরকারি চাকরিজীবী না হতে পারি, তোমাকে একটা আদর্শ মানুষ উপহার দিবো প্রিয় জবি। বড় ভাইয়া ও আপুদের থেকে চাওয়া থাকবে যেন আমাদেরকে সকল সফলতার পথ সমন্ধে অবগত করে, নিজের পরিবারের মতো করে সঠিক মানুষ হওয়ার দিকনির্দেশনা দেয়, সর্বোপরি জীবনের আসল উদ্দেশ্য ও বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার সঠিক পরামর্শ দেয়। আমাদের নতুন ক্যাম্পাসের কাজ আশা করছি তাড়াতাড়ি শেষ হবে। নতুন ক্যাম্পাস পাবো কিনা জানি না, তবে জবি আমাদের একটা শিক্ষাবান্ধব ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ উপহার দিবে এইটুকু চাওয়া।
- মিজান উদ্দিন মাসুদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ।

‘স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি’
বিশ্ববিদ্যালয় হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে উচ্চশিক্ষা প্রদান করাসহ বিভিন্ন ধরনের গবেষণামূলক কাজকর্ম করা হয়ে থাকে। গুচ্ছভুক্ত অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থাকা সত্ত্বেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি বেছে নিয়েছি, কেননা ঢাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা খুব বেশি নয়। এ কারণে ভর্তির ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরপরই অনেকের দ্বিতীয় পছন্দের অবস্থানে থাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ১৬৪ বছরের গৌরব ও ইতিহাস এবং সাফল্যের ১৮ বছরে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও দেশের উচ্চশিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আর সবচেয়ে বড় কথা রাজধানী শহরে পড়াশোনার জন্যই এখানে আসা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জার্নিটা খুব একটা সহজ ছিল না। কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্যের সঙ্গে প্রচুর অধ্যাবসায় এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যস্থির করে সবসময় লক্ষ্যমুখী হওয়ার চেষ্টা করেছি। সবার দোয়ায় এবং আত্মবিশ্বাস ঠিক রেখে বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। এটাই জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের পর শিক্ষক কিংবা সিনিয়রদের কাছে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করছি যেন সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে এবং প্রাঞ্জল পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করেন।
- সাদিয়া জাহান সুরভি, ইংরেজি বিভাগ।

‘নতুন অধ্যায়ের সূচনা’
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পছন্দের শীর্ষস্থানে অবস্থান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের। পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার জন্য প্রতিটা শিক্ষার্থী ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। আমিও এর ব্যতিক্রম ছিলাম না। ভর্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল ইতিহাস-ঐতিহ্যে ভরপুর জবির শিক্ষার্থী হওয়া। সিনিয়র ভাইয়া-আপুদের কাছ থেকে জবির শৃঙ্খলা, পড়ালেখা, সহ-পাঠক্রম সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হয়ে জবিতে পড়ার আগ্রহ প্রবল হতে থাকে। জবির ছোট ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য্য, গুণে-মানে শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অনেক শিক্ষার্থীবান্ধব। আমি একজন নবীন শিক্ষার্থী হিসেবে আশা করছি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর পরিবেশে সকল সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে আমার ছাত্রজীবনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পার করবো। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্ঞানার্জন করে দেশসেরা জ্ঞানী-গুণী মানুষ দেশসেবায় নিয়োজিত রয়েছে। আমিও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্ঞানার্জন করে নতুন কিছু করতে চাই। ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক মহোদয়দের দিক-নির্দেশনায় আমরা সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাবো আশা করছি।
- সৃষ্টি রানী দাস, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট। 

‘শিল্প-সাহিত্যে এগিয়ে যাক প্রাণের জবি’
শ্রাবণের মেঘমালার খেলা দেখতে দেখতে এসেছিল এক মাহেন্দ্রক্ষণ। অন‍্যকিছুর কথা বলছি না, বলছি জগু বাবুর ক‍্যাম্পাসে প্রথম যাওয়ার সৌভাগ্যের কথা। রিকশা থেকে নেমে প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করার সাথে সাথেই আমার মনের পুকুরে পঙ্কজ ফুটতে লাগলো। ভাবতে লাগলাম ইশ! যদি আমি এখানকার ছাত্র হতে পারতাম। ভাইবা দিতে যেয়ে যখন নাট‍্যকলা ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই এবং দিদিদের দেখলাম তখন কিছুটা ভয় কাজ করছিল। তবে সেদিন তাদের সহমর্মিতা দেখে নিজের মধ‍্যে একটা মানসিক শক্তি পেলাম। সেদিন তাদের একটা কবিতা শুনিয়ে আসলাম। কিছুদিন পর এলো সেই শুভদিন, সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আমি চান্স পেলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটারে। ভর্তি হয়ে নিজেকে মনে হচ্ছিল এক উড়ন্ত পাখি। উড়ন্ত পাখি বলার কারণ আমি শিল্পপ্রেমী মানুষ। আর যেহেতু পড়ার সুযোগ পেয়েছি নাট‍্যকলায় তার মানে সর্বক্ষণ আমি শুধু শিল্পীদের সঙ্গেই থাকবো। আমার মতো গুণহীন মানুষের কাছে এই সৌভাগ্য আকাশে নিজের কর্তৃত্ব পাওয়া অনুভূতির সমান। অপেক্ষায় আছি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার। স্বপ্ন পূরণের এ যাত্রায় প্রত্যাশা থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেন আমাদের পাশে থাকে। খুব আশা নিয়ে নবীন হয়ে আসছি ক্যাম্পাসে। আশাকরি স্বপ্ন পূরণ করে জবিকে সফলতা উপহার দিতে পারবো।
- স্পর্শ বনিক, নাট‍্যকলা বিভাগ।

‘স্বপ্নে আঁকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’
আমি ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় আমার ছোট আপু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। আপু জগন্নাথের টি শার্ট-ব্যাগ-খাতা কিনে আনতো। সবই আমি ব্যবহার করেছি। সবাই বলতো- তুমি জগন্নাথ এ না পড়েই জগন্নাথের টিশার্ট পরে ঘুরছো? তখন আমি বলতাম, কে জানে আমার জগন্নাথেই হয়তো পড়ার সুযোগ হবে! হয়তো এই কথাটাই সত্যি হবার ছিল। আমি প্রায়ই আপুর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে যেতাম। জানি না কেন, প্রতিটি জায়গা আমাকে টানতো। আমি সবসময়ই বিরাট বড় অথচ নির্জন ক্যাম্পাসের বদলে কোলাহলে মুখর ক্যাম্পাস চেয়েছি। প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন, আশা এবং জগন্নাথকে ঘিরে তাদের চোখে যে মুগ্ধতা দেখতাম, তার কারণে এই ক্যাম্পাস আমাকে টানতো। আমিও চাই জগন্নাথকে ঘিরে আমার চোখে অজস্র স্বপ্ন ও আশা ঘিরে থাকুক। আমিও যেন, এই গান গেয়ে স্মৃতিচারণ করতে পারি, ‘নীল আকাশের নিচে চায়ের কাপে, আবার জমবে মেলা জগন্নাথে, বন্ধু তোরা কই আয় ফিরে আয়, ফিরে চল আবার আড্ডায়।’
- সাজ্জাদ হোসাইন কিশোর, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ।

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়