রাবিতে পুকুর থেকে গবেষণার মাছ চুরি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কৃষি অনুষদের গবেষণা পুকুর থেকে গভীর রাতে মাছ চুরির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার (২৬ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদ পেছনের পুকুরে এই চুরির ঘটনা ঘটে।

পুকুরটিতে গবেষণার দায়িত্বে থাকা ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান চুরির ঘটনাটি নিশ্চিত করেন।

চুরির ঘটনাটি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, গতকাল বিকেলে আমার শিক্ষার্থীরা খাবার দিয়ে এসেছিল। আবার আজ সকাল ৯টায় তারা খাবার দিতে গেলে দেখে ১৮টা খাঁচার সব মাছ চুরি হয়ে গেছে। পরে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি আমাকে জানালে আমি পুকুর পরিদর্শনে যাই। সেখানে রুই, কাতলা ও তেলাপিয়া মাছ ছিল। রুই ও কাতলা মাছের বৃদ্ধির ওপর এবং তেলাপিয়া মাছের ফ্যাটি এসিড কম্পোজিশন প্রভাবের ওপর গবেষণা কাজ চলছিল।

তিনি আরও বলেন, রুই, কাতলা মাছের বৃদ্ধির জন্য চাষিরা বাজারের বিভিন্ন গ্রোথ প্রমোটার ব্যবহার করে। আমরা সেসকল গ্রোথ প্রমোটারের ওপর গবেষণা করে আসছিলাম। আর কিছুদিন পরেই গবেষণা কাজ শেষ হতো। তেলাপিয়া মাছের ফ্যাটি এসিড কম্পোজিশন ঠিকমতো না হলে মানবদেহে নানা রোগের ঝুঁকি থাকে। তাই তেলাপিয়া মাছের ওপরও গবেষণা কাজ চলছিল। কিন্তু আর গবেষণা শেষ করতে পারলাম না। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। এমন কাজের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

পুকুরের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে একজন নিরাপত্তা প্রহরী ছিল। তিনি সবার সাথে অসদাচরণ করতেন। তাই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কোনো নিরাপত্তা প্রহরী নেই।

গবেষণার কাজে নিয়োজিত ফিশারিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লিখন অধিকারী জানান, আজ সাকলে খাবার দিতে এসে দেখি মাছের খাঁচাগুলো এলোমেলো, পানি ঘোলা। তখন আমাদের কিছুটা সন্দেহ হয়। পরে খাঁচা তুলে দেখি কোনোটাতেই মাছ নেই। সব মাছ চুরি হয়ে গেছে। আমাদের গবেষণা কাজ শেষ করে দিছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক জানান, আমি একটু আগেই ঘটনাটি জানতে পেরেছি। আমি তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। সেখানে কোনো সিসি ক্যামেরা, গার্ড আছে কিনা তা দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।