ইউজিসির ছয়টি গবেষণাগ্রন্থের দুটিই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে প্রকাশিতব্য মোট ৬টি মৌলিক গবেষণাগ্রন্থের দুটিই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের। বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দেবাশীষ বেপারী ও সহকারী অধ্যাপক আশিক সরকার লিখেছেন গ্রন্থ দুটি।
প্রকাশিতব্য গ্রন্থ দুটি হলো- ড. দেবাশীষ বেপারীর ‘সমকালীন বাংলা গানের ধারায় কাজী নজরুল ইসলামের আধুনিক গান’ ও আশিক সরকারের ‘কাজী নজরুল ইসলামের ভাঙা গান’।
মঙ্গলবার (১২) সেপ্টেম্বর উচ্চশিক্ষা স্তরে মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশ উপলক্ষে পাণ্ডুলিপি প্রণেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মধ্যে পৃথক দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের উপস্থিতিতে উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। কমিশনের পক্ষে সচিব ড. ফেরদৌস জামান সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এ বিষয়ে ড. দেবাশীষ ব্যাপারীর অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার অনুভূতি এক কথায় অসাধারণ। সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে, বাংলা গানের মহান সংগীতকার এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান নিয়ে গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশ করছে ইউজিসির মতো উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান। এতে আমাদের দেশের প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে এবং সংগীত নিয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে উৎসাহিত হবে।’
এ বিষয়ে আশিক সরকার বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলামের ভাঙা গান নিয়ে কাজ করছি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি জার্নালে এ বিষয়ে আমার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় ইউজিসির মতো প্রতিষ্ঠান থেকে নজরুলের ভাঙা গান নিয়ে লেখা আমার প্রথম গ্রন্থ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। আমি ভীষণভাবে আপ্লুত। আশাকরি এই গ্রন্থ প্রকাশ হলে নজরুল গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী তথা নজরুল অনুরাগীদের বিশেষ উপকারে আসবে।’
এই গবেষণাগ্রন্থের বিষয়ে সংগীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. জাহিদুল কবির বলেন, ‘এটি সংগীত বিভাগের জন্য অনেক বড় অর্জন এবং সম্মানের বিষয়। গবেষকদ্বয়কে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি। জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি সংগীত বিভাগ যে গবেষণার বিষয়কেও সমানভাবে গুরুত্ব দেয়, এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। গবেষণাকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে এ বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে সময়োপযোগী ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার এ প্রচেষ্টা আমরা সবসময় অব্যাহত রাখবো।’
তৈয়ব শাহনূর/ফিরোজ