ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

অতিবৃষ্টিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৬, ৮ অক্টোবর ২০২৩  
অতিবৃষ্টিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জলবদ্ধতায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপযুক্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় গেল বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের (৫ ও ৬ অক্টোবর) বৃষ্টিতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।

অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাট, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হল এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির নিচ তলায় পানি জমে যায়। 

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশে বেশকিছু সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সংঘটিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির নিচতলার ডাম্পিং স্টোরে।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের জিনিসপত্র থাকলেও ডাম্পিং স্টোরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নির্দিষ্ট কেউ ছিলেন না।

ডাম্পিং স্টোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর, এমনকি আবাসিক হলের জিনিসপত্রও রাখা ছিল। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কেবল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরেরই প্রায় এক লাখ পরীক্ষার খাতাসহ সবমিলিয়ে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা মূল্যমানের জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে। প্রথমে এক লাখ খাতা নষ্ট হওয়ার তথ্য জানা যায়। পরবর্তীতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান যে, নষ্ট হওয়া খাতার সংখ্যা এক লাখ নয় বরং ৭ থেকে ৮ হাজার খাতা নষ্ট হয়েছে।  

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর সূত্রে জানা যায়, অনেক আগেই পরীক্ষার খাতাসহ দপ্তরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লাইব্রেরির নিচতলা থেকে সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের দশতলায় স্থানান্তর করার জন্য প্রশাসন বরাবর আবেদন করলেও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবদুল হালিম বলেন, এটি একটি আকস্মিক দুর্যোগ, এটির জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। আমাদের পরীক্ষার খাতা, ফরম ও খাম নষ্ট হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে আর কখনো এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে মনে করি।  

তবে বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার খাতা নষ্ট হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চলমান সেমিস্টার পরীক্ষা অব্যাহত রাখা যাবে বলে জানিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

এছাড়া ডাম্পিং স্টোরে রাখা শিক্ষক লাউঞ্জের জন্য আনা ২টি সোফা, আবাসিক হলের ৫২টি খাট, প্রকৌশল দপ্তর ও পরিবহন পুলের কিছু পুরোনো জিনিসপত্র (নিলামে বিক্রির জন্য রাখা ছিল) পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্যোগের পর সামগ্রিক বিষয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর।

তৈয়ব শাহনূর/ফিরোজ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়