ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

অর্থ সংকট: পরীক্ষা দেওয়া হলো না ডিআইইউ শিক্ষার্থীর

ডিআইইউ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৯, ১৯ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ১১:৫২, ১৯ অক্টোবর ২০২৩
অর্থ সংকট: পরীক্ষা দেওয়া হলো না ডিআইইউ শিক্ষার্থীর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) মিডটার্ম পরীক্ষার আগেই ৫০ শতাংশ টিউশন ফি দিতে না পারায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি শরীফ নামের এক শিক্ষার্থীকে। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ৮৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তবে মিডটার্মের আগে সেমিস্টার ফি প্রদানে বাধ্যবাধকতা নেই বলে মত দিয়েছে ইউজিসি৷

বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বরাবর পরীক্ষার অনুমতি চায় ওই শিক্ষার্থী৷ তবে তার আবেদন নাকচ করে দেন চেয়ারম্যান৷

এর আগে বিশ্ববিদয়ালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ জারি করা হয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে মিডটার্ম পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগেই ৫০ শতাংশ ফি পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া৷

হুট করে বিশ্ববিদয়ালয় কর্তৃপক্ষের এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কর্তৃপক্ষ বাণিজ্যিক আচরণে মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

অনুসন্ধান বলছে, পরীক্ষায় নির্ধারিত সময়ে অর্থ পরিশোধ করতে পারায় শুধু শরীফই নয়, বাতিল করা হয়েছে অসংখ্য শিক্ষার্থীর পরীক্ষা৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন অমানবিকতা নিয়ে কথা বলতে গেলে শিক্ষার্থীদের হেনেস্তার শিকার হতে হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যখন যা মন চায় তখনই তাই করে৷ কে বাঁচলো আর কে মরলো তার কোনো খবর নেই৷ তাতে তাদের কিছু যায় আসে না৷ মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে না পারলেও টাকার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না।

এদিকে মিডটার্ম পরীক্ষা দিতে না দেওয়া হতাশ হয়ে পড়েছেন শরীফ নামের ওই শিক্ষার্থী। তিনি জানান, আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান৷ বাবার অনেক টাকা পয়সা থাকলে তো আর আমার এই সমস্যাটা হতো না৷ অর্থিক সমস্যা থাকায় পরে টাকা দিব বলে অনুরোধ করেছিলাম৷ কিন্তু আমার কথা শোনেনি কর্তৃপক্ষ। এই পরীক্ষা দিতে পারলাম না, তার জন্য আবার অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে৷ এতে আমার আর্থিক সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হলো।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফেরদৌস জামান জানান, এ ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা আমরা এই প্রথম জানতে পেরেছি৷ নিঃসন্দেহে এটা একটি অনৈতিক কাজ৷ শিক্ষার্থীদের অর্থ পরিশোধের সক্ষমতা থাকুক আর না থাকুক সেমিস্টারের মাঝ পর্যায়ে এসে এভাবে পরীক্ষা বন্ধ করার এখতিয়ার নেই। তারা এটা করতে পারে না। যথাযথ অভিযোগ পেলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইউজিসি ব্যবস্থা নিবে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, বিজ্ঞান অনুষদের ডিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কেউই ফোন রিসিভ করেননি।

কাওছার/মেহেদী

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়