ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২১ ১৪৩১

৭ শিক্ষকের বেতন-ভাতা ফিরিয়ে নিলো কুবি প্রশাসন

কুবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩১, ৭ নভেম্বর ২০২৩  
৭ শিক্ষকের বেতন-ভাতা ফিরিয়ে নিলো কুবি প্রশাসন

শিক্ষা ছুটি শেষ হওয়ার পরও কর্মস্থলে যোগদান না করায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাতজন  শিক্ষকের কাছ থেকে বেতন-ভাতার টাকা ফেরত নেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মত শিক্ষা ছুটিতে থাকাকালে শিক্ষকদের ভোগ করা বেতন-ভাতা ফেরত নিলো কুবি প্রশাসন। ফেরত নেওয়া এ অর্থের পরিমাণ এক কোটি ৩৭ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০৮ টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা ছুটি শেষে কর্মস্থলে না ফেরার সাতজন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ ফেরত দিয়েছে। ফেরত দেওয়া অর্থের পরিমাণ হলো এক কোটি ৩৫ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০৮ টাকা। তারা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান, কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদিয়া সুলতানা, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আফরোজা হক, কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল বাসার, আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খোন্দকার ফিদা হাসান, কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাসান রঞ্জু গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমি আক্তার। তবে মোট কতজন শিক্ষক শিক্ষা ছুটি শেষে দেশে ফেরেননি তা জানা যায়নি।

আইন অনুযায়ী, বিদেশে যাওয়া শিক্ষকরা বৈতনিক, অবৈতনিকসহ বিভিন্নভাবে সর্বোচ্চ চার বছর পর্যন্ত ছুটি নিতে পারেন। এসময় কারও ডিগ্রি বা গবেষণা শেষ না হলে আরও দুই বছরের অবৈতনিক ছুটি দেওয়া হয়। তবে নিয়ম হলো- চার বছর ছুটি ভোগের পর দেশে ফিরে কাজে যোগদান করতে হবে। এরপর দুই বছরের জন্য ছুটির আবেদন করতে হবে। এছাড়া চার বা ছয় বছর ছুটি ভোগের পর কেউ যদি পদত্যাগ করতে চান, তাহলে তাকে ছুটির সময় নেওয়া অর্থ ফেরত দিতে হয়। অথবা সমপরিমাণ সময় চাকরি করার পর নিতে হয় অব্যাহতি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, 'আমরা আপাতত সাতজন শিক্ষকের কাছে থেকে টাকা উদ্বার করতে পেরেছি। আরও কয়েকজন শিক্ষক থেকে টাকা উদ্বার করা বাকি। আমরা শীঘ্রই পুরো কাজ সম্পূর্ণ করতে পারবো বলে আশাবাদী।'

ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক . এএফএম আবদুল মঈন বলেন,  'বিদেশে গিয়ে যারা কর্মস্থলে যোগদান করেননি তাদের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্য টাকা বুঝিয়ে দিয়ে চাকরি ছেড়ে দেওয়া। কিন্তু বিগত সময়ে সেরকম না হওয়ায় আমি আসার পর থেকেই এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নিয়েছি। এখন পর্যন্ত সাতজন শিক্ষক টাকা পরিশোধ করেছে। আরও যারা বাইরে গিয়ে চাকরিতে যোগদান করেননি তাদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, 'বিদেশে গিয়ে না ফেরার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকার যেমন অপচয় হচ্ছে, তেমনি শিক্ষক সংকটও তৈরি হয়েছে। তাই এসব বিষয়ে আমরা কাজ করছি।'

/এমদাদুল/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়