ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

রসায়ন ভীতি দূর করছে হাবিপ্রবির ‘ক্যাম ক্লাসরুম’

মুরাদ হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৬, ৯ নভেম্বর ২০২৩  
রসায়ন ভীতি দূর করছে হাবিপ্রবির ‘ক্যাম ক্লাসরুম’

শিক্ষার্থীদের রসায়নে ভীতি দূর করে তা আনন্দদায়ক করতে গত ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) যাত্রা শুরু করে অনলাইন শিক্ষাকেন্দ্র ‘ক্যাম ক্লাসরুম’। হাঁটি-হাঁটি পা পা করে তিন বছর পূর্ণ হলো হাবিপ্রবির তিন শিক্ষার্থীর হাত ধরে শুরু হওয়া এ ক্লাসরুমের।

এরই মাঝে ক্লাসরুমটির বেশকিছু সাফল্যও যুক্ত হয়েছে। মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে পরে তা আপলোড করা হয় বেশ কিছু মাধ্যমে। শুরুতে শুধু ইউটিউবে ভিডিও প্রকাশ করা হলেও পরে আরও বেশি প্রসারে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রামসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তারা।

দেশে প্রথমবারের মতো শুধু রসায়ন কেন্দ্রিক এ অনলাইন শিক্ষা-কার্যক্রমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে এ প্ল্যাটফর্মটি। ক্যাম-ক্লাসরুমে নবম-দশম শ্রেণি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি ও স্নাতক কোর্সভিত্তিক রসায়ন বইয়ের উপর আলোচনা করা হয়। এছাড়াও 'পিঁপড়া কামড়ালে ক্ষতস্থানে কেনো চুন লাগাবো’, ‘ঘুমের সঙ্গে রসায়নের সম্পর্ক’সহ নানা মজার কন্টেন্ট আছে এ প্লাটফর্মে।

এটির ভিডিও ধারণ, লেকচার প্রদান, সম্পাদনা, প্রচারসহ যাবতীয় কাজ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রসায়ন বিভাগের তিন শিক্ষার্থী। তারা হলেন- ক্যাম ক্লাসরুমের প্রতিষ্ঠাতা রাহাতুল গণি, সহ-প্রতিষ্ঠাতা মুরাদ হোসেন এবং সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর মাহমুদ-ই-মুরশেদ।

সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর মুরাদ হোসেন বলেন, 'রসায়ন মজার বিষয়। শুধু বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে রসায়নকে সাধারণ মানুষের কাছে সহজ ও সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা যায়। এখানে আমরা সেই কাজটাই করি। একাডেমিক বিষয়ের পাশাপাশি উন্মুক্ত জ্ঞান চর্চার জন্য ‘দৈনন্দিন জীবনে রসায়ন’ নামক প্লেলিস্টে নিয়মিত মজার তথ্য প্রকাশ করছি আমরা।’

তিনি বলেন, 'এ ধরনের কন্টেন্ট অনলাইনে খুঁজতে গিয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। যার বেশিরভাগই থাকে বিদেশি ভাষায়। তাই বাংলায় আমাদের এই উদ্যোগ।'

ক্যাম ক্লাসরুমে একাডেমিক, দৈনন্দিন জীবনে রসায়নসহ মোট ১২টি প্লেলিস্টে রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক ভিডিও। যা থেকে শিক্ষার্থীরা কঠিন বিষয়গুলো সহজে আয়ত্ত্ব করতে পারছে।

প্রতিষ্ঠাতা রাহাতুল গণি বলেন, অনার্সের বিষয়বস্তুগুলো বেশ কঠিন। আর অনলাইনে পাওয়া লেকচারগুলো হিন্দি অথবা ইংরেজি ভাষায়, যা সহজে আয়ত্ত্ব করাও সম্ভব হয় না। আমরা শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য, প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের মাঝে এ সেবা পৌঁছে দেওয়া।

/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়