ঢাকা     সোমবার   ০৮ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২৪ ১৪৩১

সোহরাওয়ার্দী কলেজ

আইসিটি বিভাগের ভুলের খেসারত দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা

সোহরাওয়ার্দী কলেজ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪১, ১২ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৫:৪২, ১২ নভেম্বর ২০২৩
আইসিটি বিভাগের ভুলের খেসারত দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা

প্রায় বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তিতে ভুল করে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ। আর দোষ দেওয়া হয় আইসিটি বিভাগকে। তাদের এই ভুলের খোরাত দিতে হয় কলেজে অধ্যয়নরত শত শত শিক্ষার্থীদের। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

দ্বিতীয় বর্ষের ফর্ম পূরণের বিজ্ঞপ্তি (৩১ অক্টোবর) প্রকাশের পরে মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীরা ফর্ম পূরণ করতে গেলে এক পত্রের (অর্ধপত্র) অনলাইনে ১৬০০ টাকা দেখায় এবং সে অনুযায়ী অনেক শিক্ষার্থী ১৬০০ (এক হাজার ছয়শত টাকা) টাকা জমা দেয়।

পরবর্তীতে রবিবার (১২ নভেম্বর) আবারও অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যারা মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক এক পত্রের জন্য ১৭৫০ টাকার (এক হাজার সাত শত পঞ্চাশ টাকা) জায়গায় ১৬০০ টাকা (এক হাজার ছয়শত টাকা) জমা হয়। অর্ধপত্রের প্রতি বিষয়ে ১৫০ টাকা (একশত পঞ্চাশ টাকা) কম জমা হয়। যাদের এরুপ সমস্যা হয়েছে তারা অগ্রণী ব্যাংকের এসএস কলেজ শাখা, লক্ষ্মীবাজারে পত্র অনুযায়ী অবশিষ্ট ১৫০ টাকা (একশত পঞ্চাশ টাকা) প্রদান করে স্ব-স্ব বিভাগে রশিদের কপি জমা দিতে।

আগামীকাল সোমবার (১৩ নভেম্বর) অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরিক্ষা সামনে রেখে যেখানে পুরোদমে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা, সেখানে বিএনপি জামাতের অবরোধের মতো কর্মসূচী থাকার পরও আজ রোববার (১২ নভেম্বর) বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের টাকা জমা দিতে আসতে হয়েছে। এত করে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে শত শত শিক্ষার্থীকে। 

এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের ভুলের মাশুল আমাদের কেনো দিতে হবে? কাল আমাদের ফাইনাল পরিক্ষা এই পরিক্ষা রেখে আমাকে মাতুয়াইল থেকে আসতে হয়েছে।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এই অবরোধে যেখানে সাধারণ মানুষের কাজ থাকার পরও বের হতে চায় না, সেখানে তাদের ভুলের জন্য আমাদেরকে এভাবে হয়রানির শিকার হতে হবে।

ফর্ম পূরণের অনলাইন জটিলতার বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোহসিন কবীর বলেন, এ সংক্রান্ত নোটিশটি গতকাল দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু নোটিশটিতে স্পষ্টভাবেই আজকের (১২ নভেম্বর ২০২৩) তারিখের কথা উল্লেখ আছে। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর করলে তিনি বলেন, শুধু আমাদের কলেজই নয়, এছাড়াও আরও দুইটি কলেজেও একই ধরনের ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

কিছুদিন আগে উচ্চ মাধ্যমিকের আইসিটি বিষয়ের প্রশ্নের ভুল নিয়ে বির্তকের সৃষ্টি এবং আজকের অনলাইনের ফর্ম পূরণের জটিলতার ফলে কলেজের আইসিটি বিষয়ে সক্ষমতার প্রশ্নে অধ্যক্ষ বলেন, আমি ইতিমধ্যে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে চেষ্টা করছি।

/ইয়াছিন/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়