মধ্যরাতে রাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মহড়া

তুচ্ছ ঘটনায় মধ্যরাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা অস্ত্রসহ মুখোমুখি অবস্থান নেয় বলে জানা গেছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ আবাসিক হল এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ৩২২ নাম্বার কক্ষ থেকে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী বিবেক সাহাকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নামিয়ে তাসকিফ আল তৌহিদ ছাত্রলীগের এক কর্মীকে তুলে দেন। তৌহিদ ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী ও আরবী বিভাগের শিক্ষার্থী। অপর দিকে বিবেক লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেনের অনুসারী বলে জানা গেছে।

বিবেককে হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্দ্ধ হয়ে বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী ও রাবি ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম নেতাকর্মীদের নিয়ে তৌহিদের কর্মীকে হলের সিট থেকে নামিয়ে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের অনুসারীরা হলের সামনে জড়ো হয়ে শোডাউন দিতে থাকেন।

এ ঘটনায় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসহ মুখোমুখি অবস্থান নিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও  সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

জানতে চাইলে শামীম হোসেন বলেন, আমার যে কর্মীকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিনি হলের আবাসিক ছাত্র। আর যাকে তোলা হয়েছিল তিনি অনাবাসিক। আর তৌহিদ নিজেই হল থেকে বহিষ্কৃত। সভাপতি-সম্পাদকের অনুসারীরা আমার ব্যানার-পোস্টার ছিড়ে ফেলেছে এবং কর্মীকে হল থেকে নামিয়ে দিয়েছে। এজন্য প্রতিবাদ করেছি।

মধ্যস্থতা শেষে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি বা সমস্যা হলে, আগে আমাদের জানাতে হবে। যেকোনো সমস্যা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।