উপাচার্যের স্মরণে জবিতে শোকসভা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সদ্য প্রয়াত উপাচার্য ও বিশিষ্ট উদ্ভিদবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ শোকসভার আয়োজন করে জবি কর্তৃপক্ষ।

এদিন পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং হামদ ও নাত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শোকসভা শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান শোক প্রস্তাব পাঠ করেন।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে জবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক একজন আত্নমর্যাদা সম্পন্ন এবং একাধারে দক্ষ একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছিলেন। সহকর্মীদের প্রতি তাঁর সম্মানবোধ অনুকরণীয় ছিল। অনেক বিষয়েই দ্বিমতের মধ্য দিয়ে শুরু হলেও উপাচার্যের দক্ষতায় তা শেষ হতো।’

ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হেদায়েত উল্লাহর সঞ্চালনায় শোকসভায় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান খন্দকার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম লুৎফর রহমান, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মো. জহুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদের প্রমুখ বক্তব্য দেন। এতে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, সাংবাদিক প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও শোকসভায় প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের একমাত্র সন্তান তাসলিম হক মোনা বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় উপাচার্যের সহধর্মিনী নুরুন নাহার বেগম উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পবিত্র কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, দপ্তরসমূহের পরিচালক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, ছাত্রনেতৃবৃন্দ ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এর মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিগত তিনদিন ধরে শোক পালন করছে। এছাড়াও সদ্য প্রয়াত উপাচার্যের স্মরণে শোক বই আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।