ইবিতে নির্মাণাধীন ভবনে পাইপ বিস্ফোরণে আহত ৩

নির্মাণাধীন ভবনে প্রেশার পাইপ বিস্ফোরণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তিন শ্রমিক আহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে শেখ রাসেল হলের দক্ষিণ ব্লকের ছাদে নির্মাণকাজ চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখান থেকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহতরা হলেন, ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মো. শহীদ, জাঙ্গালিয়া গ্রামের মো. রসুল ও জগৎপুরের মুরাদ হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাদ ঢালাইয়ের জন্য নিচে মেশিনে প্রস্তুত করা সিমেন্ট, বালু এবং ইটের মিশ্রণগুলো মোটা প্রেশার পাইপের মাধ্যমে নিচ থেকে ছাদে উঠানো হচ্ছিলো। কাজ চলাকালে পাইপের মাঝে জ্যামের সৃষ্টি হলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ইটের টুকরোসহ মিশ্রণের উপাদানগুলো নির্মাণে কর্মরত তিন শ্রমিকের গায়ে সজোরে আঘাত করলে তারা পড়ে যায়।

পরে সেখানে কর্মরত অন্য শ্রমিকরা তাদেরকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের সেখান থেকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এস এম শাহেদ হাসান বলেন, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বুকে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তাদের কুষ্টিয়া মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এক্স-রে করলে আঘাতের পরিমাণ স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।

ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা মাইশা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিনিধি মুন্না বলেন, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। প্রেশার পাইপ বিস্ফোরণ সাধারণত ঘটে না। তবে আমি আহত শ্রমিকদের সঙ্গেই আছি। তাদের কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করার পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যা যা করা দরকার সবকিছু করা হবে।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য সঙ্গে সঙ্গে চীফ মেডিকেল অফিসারকে জানানো হয়। আমি নিজেও মেডিকেলে গিয়েছিলাম। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সেযোগে কুষ্টিয়ায় পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবনের পাইলিংয়ের কাজ চলাকালে মাথায় পিলারের আঘাতে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এর আগে ইবির একাডেমিক ভবনের ছাদ থেকে পড়ে আরও এক নির্মাণ শ্রমিক মারা যান।