বুটেক্সের বাসা ছাড়ার নির্দেশ মানছে না বহিরাগতরা
বুটেক্স সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
![বুটেক্সের বাসা ছাড়ার নির্দেশ মানছে না বহিরাগতরা বুটেক্সের বাসা ছাড়ার নির্দেশ মানছে না বহিরাগতরা](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2023November/BUTEX-2311190653.jpg)
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি বাসায় অবৈধভাবে বহিরাগতরা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। এ বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে গত সাত মাস আগে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কয়েকজন বাসা ছেড়ে দিলেও অধিকাংশ সাবলেট নেওয়া রুমগুলোতে এখনো অবস্থান করছেন বহিরাগতরা।
জানা গেছে, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকা-১ এ বরাদ্দকৃত সরকারি বাসা বহিরাগতদের ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে পূর্ণ বাসা ভাড়া দেন এমন সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম সামনে আসে। পাশাপাশি সাবলেট বা আংশিক বাসা ভাড়া দিয়েছেন এমন সংখ্যা ৩১ জন বলে উল্লেখ করা হয়।
ভাড়া দেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাসাভেদে রুম প্রতি ৮-১২ হাজার টাকা এবং তিন রুমের পূর্ণ বাসা ২২-২৪ হাজার টাকায় ভাড়া দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে অগ্রিম লক্ষাধিক টাকা নেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া যায়।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. উম্মুল খায়ের ফাতেমাকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে কমিটি প্রধান রিপোর্ট প্রদান করেন।
ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত এক সভায় গত জুলাই-আগস্ট মাসের মধ্যে বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দেওয়া বাসা খালি করার নির্দেশ প্রদান করেন। নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন উপাচার্য।
নির্দেশনা অনুযায়ি পূর্ণ বাসা ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে চারজন। এর মধ্যে দুইজন স্বপরিবারে বসবাস শুরু করেন। পাশাপাশি আদেশ না মানায় দুইজনের বাসা বরাদ্দ বাতিল করা হয়। কিন্তু সেখানে এখনও বহিরাগত ভাড়াটিয়া অবস্থান করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে সাবলেট বা এক রুম করে যেসব বাসা বহিরাগতদের ভাড়া দেওয়া হয়েছে, তাতে এখনও কোনো পরিবর্তন আসেনি বলে জানা গেছে।
বহিরাগতদের বের করার প্রসঙ্গে তদন্ত কমিটির প্রধান ড. উম্মুল খায়ের ফাতেমা জানান, আমরা সময় নিয়ে তদন্ত করেছি এবং তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেছি। প্রশাসন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।
বহিরাগতদের বের করা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাবেরী মজুমদার বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে ব্যবস্থা নিব। বহিরাগত কাউকে রাখবো না। কবে পুরোপুরি বহিরাগতদের বাহির করা হবে তা নিদ্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না।
/সাজ্জাদুর/মেহেদী/
আরো পড়ুন