ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

আ.লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে জবিশিসের ৫ প্রস্তাবনা

জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩২, ২৮ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২০:১৯, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
আ.লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে জবিশিসের ৫ প্রস্তাবনা

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশি-বিদেশি শিক্ষক, ইউজিসিকে উচ্চশিক্ষা কমিশনে রূপান্তরসহ ৫ প্রস্তাবনা দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)। সোমবার (২৭ নভেম্বর) জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এসব প্রস্তাবনা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাককে পাঠানো হয়।

প্রস্তাবনায় শিক্ষক নেতারা উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘শিক্ষা প্রদানের জন্য জাপানের সম্রাট মেইজির মত আমাদেরকেও আজকের প্রয়োজন মেটাতে বিদেশ থেকে শিক্ষক নিয়ে আসতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই এই কথা বলেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশি-বিদেশি শিক্ষক থাকবে, আন্তর্জাতিক কোলেবরেশনে কাজ হবে এটাই স্বাভাবিক। এ লক্ষ্যে ইশতিহারে কিছু নির্দেশনা থাকা দরকার বলে আমরা মনে করি।

প্রস্তাবনায় বলা হয়, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়লেও আনুপাতিক হারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের শিক্ষার সার্বিক মান উন্নয়নে বরাদ্দ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। জবি শিক্ষক সমিতি মনে করে- একটি বুদ্ধিদীপ্ত, উদ্ভাবনী ও সৃষ্টিশীল জাতি বিনির্মানের লক্ষ্যে টেকসই উন্নয়ন ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী জাতীয় বাজেটের ২০% এবং জিডিপির ৫-৬% শিক্ষা খাতে ব্যয় করা দরকার। এই ব্যাপারে ইশতিহারে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা থাকলে দেশবাসীসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি আশাবাদী হবেন।

আরও বলা হয়, উচ্চশিক্ষার মানকে বিশ্বমানে উন্নীত করার লক্ষ্যে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে (ইউজিসি) উচ্চশিক্ষা কমিশনে রূপান্তর করা সময়ের দাবি।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত গবেষণা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি উল্লেখ করে প্রস্তাবনায় বলা হয়, প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করে যোগ্য দক্ষ ও অধিকতর মেধাবীদের শিক্ষাকতা পেশায় আকৃষ্ট করার প্রতিশ্রুতি থাকা জরুরি। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পোস্ট-ডক পজিশন, আরএটিএ পজিশন চালু করা দরকার। এজন্য বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে মেধাবিদের শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করতে হবে।

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর জন্য মানসম্মত আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করার দরকার। শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত বিশ্বের মতো চাহিদা অনুযায়ী সফট লোন সুবিধা প্রদানের বিষয়টি ইশতেহারে থাকা জরুরি। যাতে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই সুবিধার আওতায় একটি মানসম্মত উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পারে।

এ বিষয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান বলেন, উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেশি-বিদেশি শিক্ষক প্রয়োজন। আর এজন্য প্রয়োজন শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের বাজেট আরও বৃদ্ধি করা। আমরা শিক্ষার মানোন্নয়নে বেশকিছু প্রস্তাবনা দিয়েছি, যেন তা নির্বাচনী ইশতেহারে থাকে।

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষাক্ষেত্রে বড় একটি বাজেট দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যেন শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে সেজন্যই আমরা বেশকিছু প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।

/মেহেদী/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়