বাকৃবিতে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে হলের ডাইনিং পরিচালনার দাবি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দুই দফা দাবিতে মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীরা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর ১টায় মিছিলটি বাকৃবি শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের অফিস থেকে শুরু হয়ে কেআর মার্কেট ঘুরে প্রশাসনিক ভবনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

তাদের দাবি দুটি হলো- ডাইনিং-এ খেতে বাধ্য না করে প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে হল ডাইনিং চালাতে হবে এবং ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

মিছিল পরবর্তী আয়োজিত সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের বাকৃবি সংসদের সভাপতি রিফা সাজিদা বলেন, সস্প্রতি বাকৃবিতে ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনায় আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। গত ২১ নভেম্বর মধ্যরাতে তাপসী রাবেয়া হলের অতিথি কক্ষে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুরসালিন মুস্তাকিন মাফির উপর নির্যাতন চালানো হয়। উপযুক্ত ভর্তুকি দিয়ে হলের ডাইনিং পরিচালনার দায়িত্ব প্রশাসনের হাতে থাকার কথা থাকলেও, সেটা সুপরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের মাঝে লাভের মানসিকতা তৈরি হওয়ায় খাবারের মানোন্নয়ন না করে দাম বাড়িয়েছে এবং এ বিষয়ে প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের হতবাক করেছে।

তিনি আরও বলেন, তাপসী রাবেয়াসহ বেশ কয়েকটি হলের ডাইনিংয়ে খেতে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হয়। ডাইনিং এ খাওয়ার অসম্মতিতে শিক্ষার্থীদের মাফির মতো নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ফলে বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীরা ডাইনিংয়ের নিম্নমানের খাবার খায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকা আমাদেরকে আরো উদ্বিগ্ন করে। এছাড়াও গত ২১ নভেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতির উপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারধরের ঘটনাও চরমভাবে আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করে।

ছাত্রফ্রন্ট সভাপতি বলেন, রাতে বিভিন্ন সময়ে মেয়েদের হলের সামনে ভুভুজেলা বাজিয়ে ছেলেদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ , হল গেটে আজেবাজে লেখা, ক্যাম্পাসে নোংরা পোস্টারিংসহ আরও কিছু প্রবণতাও আমরা দেখতে পাচ্ছি। উপর্যুক্ত ঘটনাগুলো ক্যাম্পাসের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী।

সমাবেশ শেষে তারা দুই দফা দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।