ঢাকা     রোববার   ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১৭ ১৪৩১

সময়মতো ফল না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ বুটেক্সের শিক্ষার্থীরা

মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৩, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩  
সময়মতো ফল না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ বুটেক্সের শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টারের সব কার্যক্রম শেষ হওয়ার দেড় মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও মেলেনি ফলাফল। সচারাচর ছয় মাসে সেমিস্টার সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও, এটি শেষ করতে প্রায় ৯ মাস সময় লেগে যায়।

জানা গেছে, এ বছরের মার্চ মাসে শুরু হয় শেষ অষ্টম সেমিস্টার। অর্থ্যাৎ লেভেল-৪ এর টার্ম-২। সেমিস্টারের শুরুতে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস বিশ্ববিদ্যালয় কারিক্যুলামের নিয়ম অনুযায়ী ইন্টার্নশিপ শেষ করেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ে থিওরি ক্লাস শুরু হয়।

এরপর ক্লাস, ল্যাব, চুড়ান্ত পরীক্ষা, কমপ্রিহেনসিভ ভাইভা, প্রোজেক্ট প্রেজেন্টেশন এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্টসহ সব কার্যক্রম শেষ হতে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় চলে আসে।

উল্লেখ্য, ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা ২০ জুলাই শুরু হয়ে শেষ হয় ৩ সেপ্টেম্বর এবং বাকি সময় অন্যান্য কার্যাদি সম্পন্ন হয়। এরপর আরো দেড় মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও পরীক্ষার ফল পাননি শিক্ষার্থীরা।

পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় ৪৪তম ব্যাচের অধিকাংশ শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে। তাদের দাবি মাত্র তিনটি লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন তিন মাসে শেষ কর‍তে পারেনি। অন্যদিকে ভাইভা এবং প্রেজেন্টেশনের মূল্যায়ন সঙ্গে সঙ্গে হয়ে থাকে। ফলে আলাদা করে মূল্যায়নের জন্য সময় দরকার হয় না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ৪৪তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘আমাদের ব্যাচের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান স্যারের অবহেলার কারণে ফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে। ওনার তদারকি এবং ফল প্রকাশে তোড়জোড় না থাকায় এমনটা হচ্ছে। স্বয়ং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ওনার সঙ্গে যোগাযোগ কর‍তে পারছেন না বলে জানতে পেরেছি।’

একই ব্যাচের আহনাফ আবিদ অন্ত নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, নির্দেশনা না মানার প্রবণতা রেজাল্টের দীর্ঘসূত্রিতার জন্য অনেকাংশে দায়ী। এই সময়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে ঢুকে যাচ্ছে। অনেকে মাস্টার্স শেষ করে ফেলছে, যা আমাদের লজ্জার মধ্যে ফেলে দেয়। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। তাই রেজাল্ট ব্যবস্থাপনাকে একটি টাইম ফ্রেমের মধ্যে বেধে দেয়া দরকার। সেই সঙ্গে আমি রেজাল্ট দ্রুত সময়ে প্রকাশ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪তম ব্যাচের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ড. মশিউর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রেজাউল হক বলেন, শিক্ষকরা মার্ক দিতে দেরি করলে এমন হয়। তবে রেজাল্ট তৈরির কাজ চলছে। আশা করি ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে রেজাল্ট দেওয়া যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. সাঈদুজ্জামান বলেন, সব শিক্ষক মার্ক জমা দিয়েছে। ফলাফল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি দু-সপ্তাহের মধ্যে রেজাল্ট দিবে।

/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়