ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৭:৫৬, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে তারা দিবসটি পালন করে। রাইজিংবিডির বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতাদের পাঠানো খবরে থাকছে বিস্তারিত-

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)

কুবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় কালো ব্যাজ ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শোক র‍্যালি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এরপর শহিদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হল শাখা ছাত্রলীগ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

র‍্যালি শেষে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অমিত দত্তের সঞ্চালনায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সদয় ছিলেন। বুদ্ধিজীবীদের যে ত্যাগ, তাঁদের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। জাতীয় সংগীত আমরা কষ্ট করে অর্জন করেছি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনেকেই জাতীয় সংগীত গায় না। দেশকে ভালোবাসি শুধু মুখে না বলে কাজে কর্মে দেখাতে হবে। বাহ্যিকভাবে এ দিবস পালন না করে অন্তরে ধারণ করা উচিত।'

এছাড়াও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)

বিনম্র শ্রদ্ধায় ইবিতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ, শোক র‌্যালি এবং শহিদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে কর্তৃপক্ষ।

এদিন বেলা সাড়ে ১০টায় দিবসটি উপলক্ষে প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অর্ধনমিত করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। পরে সেখান থেকে শোক র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয় স্মৃতিসৌধে মিলিত হয়।

এ সময় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে একে একে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, বিভিন্ন বিভাগ ও হল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শাপলা ফোরাম, জিয়া পরিষদ, সাদা দল, শাখা ছাত্রলীগ, ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

এসময় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)

চুয়েটে মহান শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার .৪০ ঘটিকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকসহ চুয়েট পরিবারের সদস্যগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে শহিদ বু্দ্বিজীবী দিবসের উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (রবি)

যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ এর শহিদ মিনার বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম। এসময় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন  রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে কালো ব্যাজ ধারণ করার মধ্যদিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে ক্যাম্পাসে ‘বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য’ ও ‘চির উন্নত মম শির’-এ ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে  উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর ও রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কর্মচারী সমিতি (১১-১৬),পরিবহন দপ্তর, অগ্নি-বীণা হল, দোলন-চাঁপা হল,  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব হলসহ বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের পক্ষ থেকে ফুল দেওয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড.জান্নাতুল ফেরদৌস, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রামিম আল করিমসহ অন্যরা।

এরপর দুপুরে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংশ্লিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

যথাযোগ্য মর্যাদায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কালো ব্যাজ ধারণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শোকর‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি সিকৃবির কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে পুষ্পস্তবক দিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য, ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতি, অফিসার পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সেচ্ছাসেবী ও পেশাজীবী সংগঠন।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)

বেরোবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৩ পালন করা হয়েছে। সকালে রংপুর নগরীর দমদমা বধ্যভূমিতে শোক র‌্যালি ও শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদ।

এছাড়াও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয়া ডিনা ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মজিব উদ্দিন আহমদ। পরে পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, দপ্তর ও আবাসিক হলগুলোর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী ইউনিয়ন, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে সকালে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদ।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)

বাকৃবিতে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে শোক র‍্যালি, ক্যাম্পাসে অবস্থিত বধ্যভুমিতে সর্বস্তরের মানুষের পুষ্পাঞ্জলি অর্পণসহ নানা আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি ও শিক্ষক সমিতি।
সকাল ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বধ্যভূমিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন ও শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা বধ্যভূমিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিটি সেন্টারে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আসলাম আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ ও রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ মোঃ অলিউল্লাহ। এছাড়াও আলোচনা সভায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি)

পবিপ্রবিতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। সকাল ১০টায় দিবসটি পালন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরের (প্রশাসনিক ভবন) সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। কালো পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। এরপর শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে উপাচার্যের নেতৃত্বে এক মৌন মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

পরবর্তীতে একই স্থানে অধ্যাপক ড. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)

রাবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত উত্তোলন করা হয়। এদিন সকাল ৮টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক, শহিদ মিনার ও বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপরে সকাল ৯:১৫ মিনিটে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় শহিদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের স্মৃতিচারণ ও স্মারক প্রদান এবং সংক্ষিপ্ত  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন কমিটির সভাপতি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে এই আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধে শহিদ শিক্ষক মীর আব্দুল কাইয়ূমের স্ত্রী অধ্যাপক মাসতুরা খানম স্মৃতিচারণ করেন। আলোচনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ও বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন ইনস্টিটিউট, বিভাগ, আবাসিক হল ও অন্যান্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজ নিজ কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করে।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)

হাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্যের পক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন (অর্ধনমিত) করেন অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন।

এরপর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানম উপাচার্যের পক্ষে শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মাহাবুব হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ।

পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন অনুষদের ডীন, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ,জাতীয়তাবাদী শিক্ষক পরিষদ, সাদা দল,বঙ্গবন্ধু পরিষদ, হল সুপার কাউন্সিল, প্রগতিশীল কর্মকর্তা পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,হাবিপ্রবি শাখা, প্রগতিশীল কর্মচারী পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন।

এছাড়াও বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে এবং সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় পতাকা অবনমনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।

ঢাকা কলেজ

বাঙালি জাতির বেদনাদায়ক জাতীয় বুদ্বিজীবী দিবসকে যথাযোগ্যভাবে পালন করেছে ঢাকা কলেজ। দিবসটি উপলক্ষে রায়েরবাজার বধ্যভূমি পরির্দশন  ও পুষ্পঅর্পণ, প্রবন্ধ উপস্থাপন, দেয়ালিকা উদ্বোধন, প্রামাণ্যচিএ প্রদর্শন ও বুদ্ধিজীবীদের জীবনী নিয়ে আলোচনা সভার মাধ্যমে এই দিবসটি পালন করে কলেজ প্রশাসন। এসব কর্মসূচিতে সভাপত্বিত করেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ  ইউসুফ।

/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়