ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

অর্থ বরাদ্দে আটকা জবির দ্বিতীয় ক্যাফেটেরিয়া

জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১২:৫০, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
অর্থ বরাদ্দে আটকা জবির দ্বিতীয় ক্যাফেটেরিয়া

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একটা মাত্র ক্যাফেটেরিয়া। গত সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটক সংলগ্ন একটি উন্নত মানের ক্যাফেটেরিয়া (ফুড কোর্ট) গড়ে তোলা হবে। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের অভাবে এখনো কাজ শুরু করা যায়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী।

এদিকে একটি মাত্র ক্যাফেটেরিয়া হওয়ায় অনেক সময় শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ফুরিয়ে যায় খাবার। ফলে ক্যাফেটেরিয়ায় খাবার না পেয়ে অনেকেই বাধ্য হয়ে খাবার খান বাইরের হোটেলগুলোতে। এতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি খাবার খেতে গিয়ে উচ্চমূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে।

জানা গেছে, আগে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে ছোট একটা খাবারের দোকান ছিলো। এখন সেটা নেই, প্রায় ৩ বছর হতে চললো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, কলা অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদসহ সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের জন্য এই একটি ক্যাফেটেরিয়াই ভরসার স্থান। এখন ক্যাফেটেরিয়ায় সকালে পাওয়া যায় ডাল, পরোটা, হালুয়া। দুপুরে ভাত, মাছ, ডিম, ভর্তা, মুরগি, তেহারি। বিকালে ছোলা বুট, পুরি, ডাল।

তবে খাবারের দাম ও মান নিয়ে রয়েছে শিক্ষার্থীদের রয়েছে নানান প্রশ্ন। ক্যাফেটেরিয়ায় এক সঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ জনের বেশি শিক্ষার্থী বসে খেতে পারে না। ফলে দাঁড়িয়ে খাবার খেতে বাধ্য হয় অনেকে। অনেক সময় সেখানে শিক্ষার্থীদের আসন দখল করে গ্রুপ স্টাডি ও আড্ডা দিতে দেখা যায়।

ক্যান্টিনে খেতে আসা মেহেদী হাসান শুভ নামে এক শিক্ষার্থী জানান, প্রায় সময় ক্লাস শেষ করে এসে দেখা যায় খাবার শেষ। প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। একটি ক্যাফেটেরিয়া, জায়গাও ছোট। আরেকটি ক্যাফেটিরিয়া দ্রুত গড়ে তোলা হলে সবার জন্য উপকার হবে।

এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম শাহারিয়ার বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান খুব একটা ভালো নয়। তবুও বাধ্য হয়ে আমরা এখান থেকেই খাই। কারণ এটা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের খাবার খাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই। এখানে খাবারের দামও বেশ চড়া। আমরা ঠিকমতো বসার জায়গাও পাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত আমাদের জন্য নতুন ক্যাফেটেরিয়াসহ খাবারের মান বৃদ্ধি করা। তাতে আমাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘নতুন ক্যাফেটেরিয়ার জন্য অত্যাধুনিক একটা নকশা ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। ফাইলটি অর্থ দপ্তরে পাঠানো হয়েছিলো। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় কাজটি শুরু করা যাচ্ছে না। অর্থ বরাদ্দ হলে কাজটি শুরু হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. জিএম আল-আমিন বলেন, ‘এ নিয়ে একটা মিটিং হয়েছিলো। আধুনিক ক্যাফেটেরিয়ার নকশাটি ইতোমধ্যে প্রস্তুত আছে। উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে যতদ্রুত সম্ভব অর্থ বরাদ্দসহ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।’

/আরাফাত/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়