ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

বশেমুরবিপ্রবির শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে ধোঁয়াশা

হৃদয় সরকার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৮, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩  
বশেমুরবিপ্রবির শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে ধোঁয়াশা

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারি, শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত এবং মারধরের ঘটনায় চার শিক্ষার্থীর বহিষ্কার করা হয়। তবে সে বহিষ্কার আদেশ নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে জমে আছে ধোঁয়াশা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ বনাম ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার পরদিন ৬ নভেম্বর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. হাসিবুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কিন্তু অভিযোগ আসে, গত ১১ নভেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে গিয়ে ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রনি মৃধা ও তার সহযোগীরা মো. সাজ্জাদ হোসেন নামে এফএমবি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত এবং মারধর করে। এ ঘটনার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে সাজ্জাদ ওইদিন রাতেই উপাচার্য ভবনের ফটকে আমরণ অনশনে বসে। পরে ওই রাতেই প্রক্টোরিয়াল বডি ও শেখ রাসেল হলের প্রভোস্টের আশ্বাসে সাজ্জাদ অনশন ভাঙ্গে।

জানা যায়, পরবর্তী মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে গত ২২ নভেম্বর (বুধবার) শৃঙ্খলা কমিটির সভা করা হয়। সভার সিদ্ধান্তে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দুই শিক্ষার্থীকে আজীবন এবং দুই শিক্ষার্থীকে দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- ফার্মেসি বিভাগ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রনি মৃধা এবং ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল আহম্মেদ সাকিব। দুই সেমিস্টার বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম সাগর এবং ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু হেনা।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুযায়ী কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে দোষীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়। তাই দোষীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের জবাব চাওয়া হয়।

গত ২১ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান জানান, শৌকজ দেওয়া শিক্ষার্থীরা আত্মপক্ষ সমর্থনের জবাব দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে শৃঙ্খলা কমিটি বৈঠক হবে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে উক্ত বিষয়ে সভা হয়েছে এবং একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, আজকে শৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়েছে। সভায় একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷ তবে সেটি এখন বলা যাবে না।

তিনি বলেন, উপাচার্য এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা তাদের চলমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়