ঢাকা     শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

কুবিতে কোর্স বন্টন নিয়ে দুই শিক্ষকের হাতাহাতি

কুবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৮, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩  
কুবিতে কোর্স বন্টন নিয়ে দুই শিক্ষকের হাতাহাতি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের একাডেমিক মিটিংয়ে দুই শিক্ষকের মধ্যে কোর্স বন্টন নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বললে তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন  বিভাগের ১২১তম একাডেমিক সভায় দ্বিতীয় সেমিস্টারের কোর্স ভাগাভাগি নিয়ে সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান আবু বকর ছিদ্দিক (মাসুম) এবং সহকারী অধ্যাপক আলী মোর্শেদ কাজেমের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

পরে উপস্থিত বিভাগের অন্য শিক্ষকরা সহকারী অধ্যাপক আলী মোর্শেদ কাজেমকে রুম থেকে নিয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় সহকারী অধ্যাপক আবু বকর ছিদ্দিকের চশমা ভেঙ্গে যায় এবং আলী মোর্শেদ কাজেমের ব্লেজার ও শার্ট ছিড়ে যায়। এছাড়া উভয়ের চোখে-মুখে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে আবু বক্কর ছিদ্দিকের (মাসুম) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অপরদিকে অপর শিক্ষক আলী মোর্শেদ কাজেমের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এছাড়া এ বিষয়ে বিভাগটির বিভাগীয় প্রধান আবু বক্কর সিদ্দিক সোহেল বলেন, 'কোর্স ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। এর বাইরে আমি কোন মন্তব্য করবো না।'

শিক্ষকদ্বয়ের মারামারির ঘটনা পুরো ক্যাম্পাস জুড়েই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানা আকার ইঙ্গিতে এ বিষয়ে কথা বলছেন। এ ব্যাপারে শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা নাম প্রকাশ না করা শর্তে মন্তব্য করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুবির অধ্যাপক পদমর্যাদার এক শিক্ষক বলেন, ‘এটা কখনোই শিক্ষকসুলভ আচরণ না। শিক্ষার্থীরা একটা ব্যাড এক্সাম্পল পেলো এই ঘটনায়। এই ঘটনায় আমরা বিব্রত।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার আরেক শিক্ষক বলেন, 'আমাদের মূল্যবোধগুলো ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসছে। যার ফলে এই আলোচিত ঘটনা হচ্ছে। আমাদের এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আরও প্রফেশনালিজমের সঙ্গে বিষয়গুলো হ্যান্ডেল করতে হবে।'

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি শিক্ষক হিসেবে এই ঘটনায় বিব্রত। আইন অনুষদের শিক্ষকরা আমার কাছে এসেছিলো। তারা এ ঘটনায় অনুতপ্ত বলে জানিয়েছে আমাকে। সামনের দিনে তারা মিলেমিশে কাজ করবে বলে কথা দিয়েছে। তবে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

/এমদাদুল/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়