ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১১ ১৪৩১

জাবির আবাসন সঙ্কটের সমাধান করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি

জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪১, ১১ জানুয়ারি ২০২৪  
জাবির আবাসন সঙ্কটের সমাধান করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের (৫২ ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা আবাসন সংকটের কারণে সশরীরে ক্লাস শুরু করতে পারছে না। আবার ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এ আবাসন সঙ্কটের সমাধান না করে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, অদক্ষ প্রশাসনের খামখেয়ালিপনায় নিদারুণ সংকটে পড়েছে জাবির ১ম বর্ষের (৫২ ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা। ভর্তিপরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও সশরীরে ক্লাস শুরু করতে পারেনি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। আবাসন সংকটের অজুহাত দেখিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে পাঠিয়ে প্রশাসন যে দায়সারা আচরণ করছে, তাতে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নময় বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরুতেই হোঁচট খাচ্ছে।

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও স্বেচ্ছাচারিতা চরম আকার ধারণ করেছে। ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের গণরুম-গেস্টরুমের নিপীড়নমূলক চর্চা অব্যাহত রাখতে কৃত্রিম সিট সংকটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঠেলে দিয়েছে প্রশাসন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে পর্যাপ্ত সিট রয়েছে। কিন্তু সিট ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনের কোনো অংশগ্রহণ নেই। এতে করে হলগুলোতে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন সিট রাজনীতিতে জিম্মি করছে আবাসিক শিক্ষার্থীদের।

বিবৃতি আরও বলা হয়, নতুন চারটি হল প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু বারবার হল চালুর সময় পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু হলগুলো চালু করছে না প্রশাসন। উপরুন্ত শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে অপসারণের মাধ্যমে বৈধ শিক্ষার্থীদের আসন নিশ্চিতের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো, প্রশাসন তা বাস্তবায়নেও কোনো সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না।

ফলে একদিকে ৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে পূর্বের একাধিক ব্যাচের শিক্ষার্থীরা গণরুম-মিনিগণরুমে সীমাহীন দুর্ভোগে তাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।  প্রশাসনের এই অদক্ষ ও দায়সারা আচরণে বহুমাত্রিক সংকটের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের পরিবেশ। এমতাবস্থায় ৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে বরণ না করেই আরও একটি ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রশাসনের উপহাসসরূপ।

বিবৃতিতে অবিলম্বে নতুন চারটি হল চালু করে কৃত্রিম সীট সংকট নিরসনের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি ৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে বরণ করে নেওয়ার পূর্বে আরও একটি ব্যাচের ভর্তিপরীক্ষা শুরু করার প্রহসন পরিত্যাগ করতে এবং ভর্তি পরীক্ষার ফরমের মূল্যবৃদ্ধির মুনাফা লোভী প্রবণতা থেকে সংযত হতে সতর্ক করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সব ধরনের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত রুখে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

/আহসান/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়