ঢাকা     বুধবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১০ ১৪৩১

রাবির সেই চিকিৎসকের জামিন বাতিল

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫২, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪  
রাবির সেই চিকিৎসকের জামিন বাতিল

যৌন হয়রানির মামলায় অভিযুক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা কেন্দ্রের উপপ্রধান চিকিৎসক রাজু আহমেদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মো. এমদাদুল হক বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির বিভাগীয় প্রধান দিল সেতারা চুনি।

অ্যাডভোকেট দিল সেতারা চুনি বলেন, মামলা হওয়ার পরে চিকিৎসক রাজু আহমেদ হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে জামিন নিয়েছিলেন। তারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে রাজুর জামিন বাতিলের আবেদন করেছিলেন। আজকে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন বাতিল করেছেন এবং কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর রাতে রাজশাহী নগরের তালাইমারি এলাকার আমেনা ক্লিনিকে এক কিশোরীকে (১৩) যৌন হয়রানি করার অভিযোগ ওঠে রাজু আহমেদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পরদিন ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ভুক্তভোগী শিশুর মা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের শিক্ষক। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক আন্দোলন করার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ নভেম্বর রাজু আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি এবং যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ বিষয়ক কমিটিকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিকে ঘটনা ঘটার ১৪ দিন পর ১৩ নভেম্বর ভুক্তভোগী শিক্ষিকাসহ আরও দুইজনের নামে রাজশাহী কোর্টে বিভিন্ন ধারায় পাল্টা মামলা দায়ের করে রাজু আহমেদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ সেল ও সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, যৌন হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত রাজু আহমেদ, ভুক্তভোগী কিশোরী ও তাঁর মা সহ মোট ২২ জন ব্যক্তির বিভিন্ন সময় সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। পরে তাঁদের প্রতিবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে প্রেরণ করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২৬তম সিন্ডিকেট সভায় চিকিৎসক রাজু আহমেদকে চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ সেলের আহবায়ক অধ্যাপক তানজিমা যোহরা হাবিব বলেন, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোট ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী প্রতিবেদন সিন্ডিকেটে পাঠানো হয়েছে এবং শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সিন্ডিকেট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।

/শাকিবুল/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়